ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে কুলতলিতে দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়। মুক্তারি খাতুন নামে নিহত এক মহিলার শাশুড়ি এবং খুড়শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশসূত্রে খবর, মহিলার স্বামী ওই দু’জনকে খুন করে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় যাতে খোরপোশ না দিতে হয় তাই স্ত্রীকে খুন করে সে। ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় তাই পরে স্ত্রীর বান্ধবীকেও খুন করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মেরিগঞ্জে রয়েছে ইটভাটা। কাজ সেরে বৃহস্পতিবার রাতে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন এক মহিলা। কাছে গিয়ে স্থানীয়রা বুঝতে পারেন তিনি আর বেঁচে নেই। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার সকালে মেরিগঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে পিয়ালি নদীর চরে আরও এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। খবর দেওয়া হয় কুলতলি থানা এবং বারুইপুর জেলা পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি চাদর এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিহত ওই মহিলার নাম মুস্তারি খাতুন এবং আবিদা খাতুন। মুস্তারির বান্ধবী আবিদা খাতুন। পুলিশসূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ক্যানিং থেকে মুস্তারির শাশুড়ি এবং খুড়শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে। রাতভর জেরায় সে জানায়, বেশ কয়েকবছর আগে মুস্তারির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও চলছে। গত ২৩ জানুয়ারি শাশুড়ি মুস্তারিকে মেরিগঞ্জে ডেকে পাঠায়। স্ত্রী একা আসেননি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী আবিদাও। একটি গাড়িতে চড়ে দু’জনকে পিয়ালি নদীর চরে নিয়ে যাওয়া হয়। যাতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় খোরপোশ না দিতে হয় তাই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে মিজানুর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দৃশ্য দেখে ফেলে মুস্তারির বান্ধবী আবিদা। তাই প্রমাণ লোপাট করতে স্ত্রীর বান্ধবীকেও খুন করে সে। ক্যানিং থেকে ইতিমধ্যেই মহিলার শাশুড়ি এবং খুড়শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.