ছবি: প্রতীকী
সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলিগুড়ির (Siliguri) সুভাষপল্লির কঙ্কাল কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। ভৌতিক কিংবা তন্ত্রসাধনার জন্য হাড়গোড় এবং মাথার খুলি মজুত করেননি কেউ। বরং ওই হাড়গোড় এবং মাথার খুলি একজন চিকিৎসক পড়ুয়ারই ব্যবহৃত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লির দীনবন্ধু মিত্র সরণির ওই বাড়ির বর্তমান মালিক ভিক্টর চক্রবর্তী। বছর পাঁচেক আগে ওই যুবকের বাবার মৃত্যু হয়েছে। নেই মা। স্ত্রী পেশায় রেলকর্মী ছিলেন। তবে বাড়িতে একাই থাকতেন ভিক্টর। খুব একটা মিশতেন না কারও সঙ্গে। আচরণও ছিল অদ্ভুত। তাই তাঁর বাড়ি থেকে হাড়গোড় এবং কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের জট বাঁধতে থাকে। পুলিশ এবং ফরেনসিক টিমের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ এই বাড়ির প্রাক্তন মালিক খোকন চক্রবর্তীর সঙ্গেও কথাবার্তা বলে। তাতেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, খোকনবাবুর মেয়ে পৌলমীর স্বামী প্রতীক বসু। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়াশোনা করতেন প্রতীক। ছাত্রজীবনে প্রতীকের ব্যবহৃত বই, হাড়গোড়, মাথার খুলি একটি ট্যাঙ্কের মধ্যে ওই বাড়িতে রাখা ছিল। ইতিমধ্যে বাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হয়। বাড়ি ফাঁকা করলেও ওই ট্যাঙ্কটি আর নিয়ে যাওয়া হয়নি প্রাক্তন বাড়িমালিকের। তাঁর দাবি, কী আছে ওই ট্যাঙ্কটিতে তা হয়তো কৌতূহলবশতই খুলে দেখতে গিয়েছিলেন ভিক্টরবাবুরা। আর ট্যাঙ্ক খুলতেই বেরিয়ে পড়ে মাথার খুলি এবং হাড়গোড়। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভৌতিক কিংবা তন্ত্রসাধনার মতো ঘটনার সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.