নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: মেরাপ বাঁধা শেষ হয়েছে আগেই। রান্নাবান্না প্রায় শেষ। আশীর্বাদ সেরে সন্ধেয় বিয়ে হবে পাত্রীর। তখনও আশীর্বাদের জন্য মঙ্গলঘট স্থাপন করে ছেলের বাবার অপেক্ষা করছিল মেয়ের পরিবার৷ হঠাৎ হাজির পুলিশ৷ রবিবার বিকেলে বাগদা থানার হালদার পাড়ার বিয়েবাড়িতে পুলিশ আসতেই পালটে গেল চিত্র। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন কেন? ওসি অসীম পালের প্রশ্নে চুপ করে রইলেন বিয়েবাড়ির কর্তারা। বন্ধ হল বিয়ে৷
[ভাড়াটিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলেকে বেধড়ক মার বাড়িওয়ালার]
সূত্রে জানা যায়, বাগদা থানার হালদার পাড়ার এক ১৫ বছরের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকা সঙ্গে পাশের গ্রামের ছেলে বাপি মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিল দুই পরিবার। রবিবার বিয়ের হওয়ার কথা ছিল নাবালিকার বাড়িতে। সেইমতো বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ হয়। বিয়েবাড়িতে তখন চলছে শেষ মুহূর্তের রান্না। মাটিতে পাতা হয়েছিল আশীর্বাদের পিঁড়ি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগদা থানার ওসি অসীম পাল ও বিডিও অফিসের প্রতিনিধিরা ওই বাড়িতে পৌঁছায়। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, নাবালিকা বিয়ের কুফল এবং আইন সম্পর্কে বোঝাতে শুরু করে কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের। নাবালিকার বাবা রঘুনাথ হালদার ১৮ বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না লিখিত ভাবে জানান পুলিশকে। বন্ধ হয় বিয়ে।
[৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী]
নাবালিকার মা সন্ধ্যা হালদার বলেন,”স্বামী অসুস্থ। অভাবের সংসার। তিন মেয়ে আমাদের৷ দুই মেয়ের আগেই বিয়ে দিয়েছি৷ ভাল পাত্র পেয়েছি তাই মেয়েদের সহযোগিতা নিয়ে ধার দেনা করে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম।” ১৮ বছর সম্পূর্ণ হলে তারপর মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.