Advertisement
Advertisement
Naihati

ইট দিয়ে থেঁতলে গুলি চালিয়ে খুন! নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী হত্যায় নৃশংসতার বর্ণনা দিল পুলিশ

অর্জুন সিংয়ের পালটা অভিযোগ, এলাকা দখল নিয়ে ঝামেলার জেরে এই হত্যাকাণ্ড।

Police super of Barrackpore Commissionarate describes murder of TMC worker at Naihati

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 31, 2025 7:52 pm
  • Updated:January 31, 2025 7:56 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: শুটআউট নয়, প্রথমে ইট দিয়ে থেঁতলে খুনে চেষ্টা হয়েছিল নৈহাটির তৃণমূল কর্মীকে। তারপর চালানো হয় তিন-চার রাউন্ড গুলি। এরপরও প্রাণে বেঁচেছিলেন সন্তোষ যাদব। কারণ, দু-দুটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু একটি গুলি লাগে নাকে, আরেকটি সরাসরি মাথায় লাগে। তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সন্তোষ। শুক্রবার বিকেলে নৈহাটির গৌরীপুরের শুটআউটে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে নৃশংসতার বর্ণনা দিলেন বারাকপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। এই ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, এর আগে রাজেশকে (যাকে হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে) লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। ওদের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। সেই কারণেই আজকের ঘটনা। আর জেলা তৃণমূলের দাবি, অর্জুন সিংয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই হত্যাকাণ্ড।

স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির গৌরীপুরের বড় মসজিদ গলির বাসিন্দা সন্তোষ যাদব দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ টোটোয় করে বাড়ি ফিরছিলেন সন্তোষ। গৌরীপুর গোয়ালপাড়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় দুটি বাইকে ছজন দুষ্কৃতী টোটো দাঁড় করিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দিনেদুপুরে রাস্তার মাঝে তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া। প্রাথমিক তদন্তের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, “প্রথমে সন্তোষ যাদবকে মারধর করার পাশাপাশি ইট দিয়েই হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে কয়েকজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরনো শত্রুতার কারণেই এই খুন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনও কারণ উঠে আসেনি। তদন্ত চলছে।”

Advertisement

নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে’র কথায়, “অর্জুন সিংয়ের পোষা গুন্ডা রাজেশ সাউ, চিন্টু সিং-সহ আরও কয়েকজন ঘিরে ধরে সন্তোষকে গুলি চালিয়েছে। প্রথম গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে পালানোর চেষ্টা করে সন্তোষ। তখন জোড়া বাড়ি সামনে তাঁকে ধরে ফেলে প্রথমে ইট দিয়ে কপাল থেঁতলে দেয়। তারপর ওরা গুলি চালায়। একটি গুলি নাকের উপরে লাগে, আরেকটি গুলি চোয়াল ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে অর্জুন সিং দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার সন্তোষকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।”

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই খুন বলে পালটা অভিযোগ তুলে অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, “গৌরীপুর জুট মিলের জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গন্ডগোল চলছে। এ নিয়ে বছর দুই আগে সন্তোষ রাজেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। দুদিন আগেও জমি দখল নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের কারণে খুনের ঘটনা চাপা দিতেই তৃণমূল আমার ও বিজেপির বিরুদ্ধে বলছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement