ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: লোহা দিয়েই কাটা হয় লোহা। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব আর উস্কানি ছড়ানো বন্ধ করতে এবার সেই পন্থাই নিল পুলিশ। সম্প্রতি তেলিনিপাড়ার অশান্তি নিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে ভুরি ভুরি গুজব ছড়িয়েছে। নাম বদলে কিছু দাগি আসামী এই কাজে করছে বলেই দাবি করে অভিযুক্তদের আসল পরিচয় প্রকাশ করে পালটা আক্রামণের পথেই হাঁটল পুলিশ। হাতিয়ার সেই সোশ্যাল মিডিয়াই। দুষ্কৃতীদের নাম, ঠিকানা, ছবি-সহ কী কী অপরাধ করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু করলেন উর্দিধারীরা।
তেলিনিপাড়ার ঘটনার পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু পোস্ট ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। যাতে অশান্তি বেড়েছে। গুজব রুখতে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু যে পোস্ট ঘিরে এত অশান্তি, পুলিশের দাবি তার বেশিরভাগই ভুল তথ্য। জানা গিয়েছে, তেলেনিপাড়া প্রসঙ্গে অমিত ‘অমিতাভ’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক যুবক উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে। কখনও বিধর্মীদের মারার কথা বলছে সে, কখনও আবার পুরনো অশান্তির ঘটনার রেশ টেনে হিংসা ছড়ানোর বার্তা দিচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সেই পোস্টটি করার পরই তা নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার শেয়ার হয়। এরপরই পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ওই যুবক বারাসত এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী।
এরপরই রাজ্য পুলিশ ও ব়ারাসত জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে ওই ভাইরাল পোস্টের ছবি আর ওই দুষ্কৃতীর আসল পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুষ্কৃতীর আসল নাম অমিতাভ গুহ ওরফে নব। তার বিরুদ্ধে বারাসত থানায় একটি খুনের মামলা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনাতেও অভিযুক্ত সে। বহুবছর ধরে বেপাত্তা সে। রাজ্যের বাইরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নব-র মতো আরও অনেকে রয়েছে, যারা এই ধরনের অপপ্রচার ও উস্কানি ছড়াচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যেকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিড়িয়ায় যেমন প্রচার চালানো হবে, তেমনই আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.