সুদীপ রায়চৌধুরী: গত চারদফার মতো পঞ্চম দফাতেও নিম্নমুখী ভোটদানের হার। ২০১৯ সালের তুলনায় ৮ কেন্দ্রেই কমেছে ভোটদান। স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ বাড়ছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধে সাতটা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৭৩ শতাংশ। আজকে দেওয়া তথ্য বলছে, ভোট পড়েছে ৭৮.৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আরামবাগে ৮২.৬২ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেখানে ভোট পড়েছিল ৮২.৫৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে হুগলি ৮১.৩৮ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৮২.৪৭ শতাংশ। ভোটদানের নিরিখে তৃতীয় স্থানে বনগাঁ ৮১.০৪ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৮২.৬৩ শতাংশ। এবার উলুবেড়িয়ায় ভোট পড়েছে ৭৯.৭৮ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৮১.১৬ শতাংশ। শ্রীরামপুরে ভোট পড়েছে ৭৬.৪৪ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৭৮.৪৮ শতাংশ। বারাকপুরে ভোটের হার ৭৫.৪১ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৭৬.৯২ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে হাওড়ায় ৭১.৭৩ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৭৪.৭৮ শতাংশ।
পর পর পাঁচদফাতেই নিম্নমুখী ভোটের হার। কিন্তু কেন? কমিশন (Election Commission) মনে করছে ভোটের হার কমার মূল কারণ তিনটি। ১) ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ পড়া। বিরোধীদের অভিযোগের পর ভোটার তালিকা থেকে বহু ভুয়ো ভোটারের নাম আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। ২) ছাপ্পা ভোট না পড়া। কমিশন মনে করছে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হওয়ায় প্রতিবার যে বাড়তি ভোটটা ছাপ্পা হিসাবে পড়ে। এবার সেটা আটকানো গিয়েছে ৩) পরিযায়ী শ্রমিকদের সবার না আসা। কমিশন মনে করছে, ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা দেখে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকই এবার ভোট দিতে আসেননি। সেটাও একটা প্রভাব ফেলেছে।
বলা হয়, ভোটদানের হার কমলে অ্যাডভান্টেজ পায় শাসক দল। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন শাসকের ঝুলি ভরছে, কেন্দ্রের নাকি রাজ্যের, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.