সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: পূর্বঘোষণা মতোই ৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে জনসভা করবেন বিমল গুরুং। তবে বাড়তি জমায়েতের কথা চিন্তা করে শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্ক থেকে সভা সরিয়ে ভক্তিনগর এলাকার গান্ধী ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিমল পন্থী মোর্চার সহ-সভাপতি বিশাল ছেত্রী ঘোষণা করেন একথা।
কয়েকবছর পর বিমল গুরুংয়ের এই সভাকে কেন্দ্র করে গান্ধী ময়দানের শুরু হয়েগিয়েছে প্রস্তুতি। সমস্ত রকম কোভিড বিধি এবং প্রশাসনিক বিধি মেনেই সভা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশাল। এই সভা করার অনুমতি মেলায় রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তবে সভা করলেও এখনই পাহাড়ে ফিরছেন না বিমল। পাহাড়ে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন তাঁরা। বিমল গুরুংয়ের সুবাস কিসিংয়ের মতই অবস্থা হবে, হুমকিকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না বিমল পন্থীদের তরফ থেকে। তাই পরিস্থিতি বুঝে সবরকম আটঘাট বেঁধেই পাহাড়ে ফিরবেন তাঁরা, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার বিশাল ছেত্রী বলেন, সভার পর বেশ কিছুদিন বিমল গুরুং শিলিগুড়িতেই থাকবেন। গতবারের লোকসভা ভোটে বিমল গুরুংয়ের সহায়তায় উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। এবার তৃণমূলকে জেতাতে উত্তরবঙ্গই পাখির চোখ মোর্চাদের। এই সভায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশাবাদী তাঁরা। কার্শিয়াংয়ে রোশন গিরির সভায় অবশ্য তেমন লোক হয়নি। যদিও মোর্চা নেতাদের দাবি, সেদিনের জমায়েত সফল হয়েছে। তবে বিমলের সভায় তাঁরা জনবিস্ফোরণ আশা করছেন।
এ বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, পাহাড়ের বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা করছে। তাঁরাই বিষয়টি জানেন। যদিও বিনয় পন্থী মোর্চার সহ-সভাপতি অনিত থাপার কথায়, “যে কেউ যেকোনও জায়গায় সভা করতেই পারেন। কিন্তু মানুষ বিমল-রোশনদের আর বিশ্বাস করে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.