নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্বর্গ-মর্ত এমনকি আত্মাও নাকি সংখ্যাতত্বের হিসাবে চলে। পিথাগোরাসের ১২ গিঁটের রহস্য উদঘাটন করে এমনই দাবি করল মাজিগ্রাম হাই স্কুলের দুই ছাত্রী। দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী অভিষিক্তা মণ্ডল ও অঙ্কিতা সাহা। পিথাগোরাসের উপপাদ্যকে সমদূরত্বের ১২টি গিঁটের দড়ি দিয়ে তারা প্রমাণ করল কোনও সমকোণী ত্রিভূজের সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয়ের ওপর অঙ্কিত বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের সমষ্টি অতিভূজের ওপর অঙ্কিত বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্র ফলের সমান।
ছন্দে ছড়ায় অভিনয়ে দুই ছাত্রী অভিষিক্তা ও অঙ্কিতা অঙ্ককে নিয়ে এমন সহজভাবে উপস্থাপন করল, যাতে মুগ্ধ হল দর্শকরা। আড়াই হাজার বছর আগে সামোস দ্বীপে জন্ম হয় আধুনিক জ্যামিতির জনক পিথাগোরাসের। সংখ্যাতত্বের আগ্রহ নিয়ে পিথাগোরাস চলে আসেন মিশরে। তিনি দাবি করেন স্বর্গ, মর্ত্য ও আত্মার সব তত্বই চলে সংখ্যার হিসাবে। সেখানেই লম্ব আঁকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। সেই তর্কের ফসল হিসাবে জন্ম নেয় ১২ গিঁটের রহস্য। ছাত্রীরা এবার একটি দড়ি হাতে তাতে ১২ গিঁট বেধে ছন্দে অভিনয় করে দেখায়।
[প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী ইসলামপুর কাণ্ডে নিহতদের পরিবার]
তাঁরা বলে, ‘‘একখানা দড়ি দিয়ে, সমান সমান দূরে ১২ খানা গিঁট আসবে ঘুরে ঘুরে৷’ এমনভাবে এবার টেনে ধরুন দড়িটাকে একপাশে চারখানা গিঁট যেন থাকে৷’ অন্যপাশে পাঁচ খানা, আরেকপাশে ছয়টি পুরোটা দেখতে যেন ত্রিভূজের মতন হয়৷’ ছড়ায় কাটা এমন উপপাদ্যে ছন্দ ভাঙ্গে এক ছাত্রী অভিষিক্তা। সে বলে ওঠে, ‘দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও চার-পাঁচ-ছয় মিলে পনেরো যে হয়, বারোর হিসাব তো মিলিবার নয়৷’ প্রত্যুত্তরে অঙ্কিতা বলেন, ‘না না গুরু ঠিকই আছে, দেখুন ভাল করে, কোনার গুল দুই বাহুতে কমন কিন্তু পরে’। ‘এর মধ্যে লম্ব কিন্তু আঁকা হয়ে গেছে, চার গিঁট আর পাঁচ গিঁট দুই বাহুর মাঝে৷’ জেলার মধ্যে এমন সহজে অঙ্ক নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে আরও বিভিন্ন মডেল ছাত্ররা করেছে বলে জানান স্কুলের অঙ্ক শিক্ষক শুভাশিস গড়াই। তিনি জানান, ছাত্রীদের এই উৎসাহে অঙ্কের এই মডেলটি বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে স্কুলের তরফে হাজির করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.