প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাকপুর: সরস্বতী পুজোর রাতে বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু। এর জেরেই স্থানীয় এক দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালায় এলাকায়। শেষে জনরোষের মুখে পড়ে গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবার রাতে রহড়া থানার অন্তর্গত পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের রুইয়া নালীরমাঠ এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃতের নাম বিজিত বিশ্বাস (৩৮)। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক মামলা-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। বহুবার বিজিতকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও সে বদলায়নি। বরং এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে সে হুমকি দিত। হামলাও চালাত বলেই অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল এলাকাবাসী।
বুধবার সরস্বতী পুজোর রাতে নালিরমাঠ সংলগ্ন সম্প্রীতি ক্লাবে বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে বিজিতের সঙ্গে ঝামেলা হয়। সে ক্লাবে ভাঙচুর, সদস্যদের মারধর করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বাড়িতেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হন আশুতোষ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী কবিতা ঘোষ। দুজনকেই বারাকপুর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জখম কবিতাদেবী বলেন, “আমাদের বাড়ির পাশের সম্প্রীতি ক্লাবে ভাঙচুরের আওয়াজ শুনতে বেরিয়ে দেখি আমাদের গাড়িতেও বিজিত হামলা চালাতে যাচ্ছে। তখন স্বামী বেরিয়ে তাকে বারণ করলে ওই বিজিত ক্ষুর দিয়ে কোপ দেয়, মারধর করে। বাঁচাতে গেলে আমার উপরও হামলা চালায়।” এর পর বিজিত আরও একজনকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
ক্ষিপ্ত জনতা জড়ো হয়ে বিজিতকে ধরে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এর জেরেই তার মৃত্যু হয়। এই প্রসঙ্গে পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপতি দাস বিশ্বাস বলেন,”ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে, জানতে পেরেছিলাম এলাকায় গণ্ডগোল হচ্ছে। বিজিত নামে এক সমাজবিরোধী প্রায়ই এলাকায় গণ্ডগোল করতো। তাই ওর উপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত ছিল। এদিন সেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে তিনজন জখম হয়। তখন জনরোষের মুখে পড়ে তার মৃত্যু হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.