শংকর রায়, রায়গঞ্জ: অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে মা। মা-কে খুনের অভিযোগে বাবা এখন জেলে। একরত্তি শিশুটিকে দেখার কেউ নেই। পড়শিদের কাছে আশ্রয় পেয়েছে সে। কিন্তু, শিশুটির দায়িত্ব নিতে রাজি নয় কেউ-ই। চরম অনিশ্চয়তা দিন কাটছে রায়গঞ্জের বাসিন্দা ওই শিশুটির। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আষেশা রানি জানিয়েছেন, ‘শিশুর বর্তমান ঠিকানায় যোগাযোগ করা হবে। তারপর সরকারি স্পেশালাইজড অ্যাডপটেশন এজেন্সিতে ওই শিশুকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’
[কর্মসূত্রে মা বাইরে, ছাত্রীকে হাওড়া স্টেশনে ফেলে পালাল মামা-মামি]
ওই শিশুটির বাবা দেবব্রত বিশ্বাস। মা সুদীপ্তাতরণী দাস(বিশ্বাস)। বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। গত সপ্তাহে রায়গঞ্জের সুভাযগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন বছর তেইশের ওই গৃহবধূ। ৩ দিন রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। কিন্তু, সুদীপ্তাতরণীকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর তিন দিন পর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। সুদীপ্তাতরণীর স্বামী দেবব্রতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফলে এখন কার্যত অনাথ ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান।
[জেল ভাঙার ছক, ছবি তুলতে গিয়ে আটক সন্দেহভাজন জঙ্গি]
মৃত ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। বাবা-মা অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছে। মৃতার এক দাদা আছেন। তিনিই বোনের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, বোনের সন্তানের দায়িত্ব নিতে এসে আসেননি দাদা দীপক বিশ্বাস। এখন একরত্তি শিশুটিকে দেখভাল করছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু, কতদিন? শিশুটির দায়িত্ব নিতে রাজি নন পড়শিরা। শিশুকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম রায় বলেন, ‘ওই শিশুর ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত করতে সরকারি হোমে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’ উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘শিশুর বর্তমান ঠিকানায় যোগাযোগ করা হবে। তারপর সরকারি স্পেশালাইজড অ্যাডপটেশন এজেন্সিতে ওই শিশুকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’
[স্থায়ী হল না দাম্পত্য, অহনার অভিযোগে বধূ নির্যাতনের মামলা সিউড়ি আদালতে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.