সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আবহে রেল কারখানায় ‘নেপোয় মারছে দই’। মহামারীর সুযোগে দখল হয়ে গিয়েছে বহুদিনের ক্যান্টিন। এই অভিযোগে লিলুয়ায় ওয়ার্কশপের কর্মীরা ক্ষোভে ফুটছেন। কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে নির্বিকার বলে কর্মীদের ক্ষোভে আঁচ বাড়ছে দিন দিন।
ওই ওয়ার্কশপের প্রায় জন্মলগ্ন থেকে স্টোরের একটি স্টাটুটারি ক্যান্টিন ছিল। তৎকালীন ঠিকা শ্রমিকদের যাঁরা স্থায়ী চাকরি পাননি তাঁদের একাংশ এই ক্যান্টিন চালনা শুরু করেছিলেন। নিরামিষ ১৬ টাকা, ৪০ টাকা দিয়ে আমিষ খাবার খেতেন ওয়ার্কশপের কর্মীরা। লকডাউনে ওয়ার্কশপ বন্ধের ফলে তালা পড়ে যায় ক্যান্টিনে। আনলক পিরিয়ডে ওয়ার্কশপ খুললেও ক্যান্টিন যেহেতু বসে খাওয়ার জন্য তৈরি, তাই সেটি খোলা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আর এখানেই শুরু হয়ে যায় ‘নেপোয় দই মারার’ পদ্ধতি। এক শ্রেণির অফিসারের সখ্যতায় কিছু মানুষ এই ক্যান্টিনটি কুক্ষিগত করে নেয়। প্যাকেট খাবার পরিবেশনের নামে তা হস্তগত করে বেআইনি ভাবে। বর্তমানে সেখানে ৪০ টাকার মিল ৬০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
চরম দুঃসময়ে এই বেআইনি হস্তান্তর ও খাবারের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কর্মীরা। কর্মী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে গঠিত আটোনোমাস বডি ক্যান্টিন পরিচালনা করত। বেআইনি হস্তান্তরের পর আগের ক্যান্টিন কর্মীরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে আন্দোলন শুরু করেছে কর্মী সংগঠন। কোনও রকম টেন্ডার ছাড়া এই হস্তান্তর বেআইনি বলে আন্দোলন শুরু করেছে মেনস ইউনিয়ন। ইউনিয়নের অভিযোগ, এক শ্রেণির কর্তাদের হাতে রেখে এই বেআইনি হস্তান্তর হয়েছে। অবিলম্বে ক্যান্টিন পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। পরিস্থির প্রেক্ষিতে তা বন্ধ থাকলে থাকবে। ওয়ার্কশপের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার পরমেশ্বর শর্মা এই বেআইনি কাজকে বড়ো করে দেখতে চাইছেন না। তিনি বলেন, এগুলি খুব বড় কোনও সমস্যা নয়। এর পর আর তিনি বিশেষ কিছু জানাতে চাননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.