সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেন চলাচল বাড়লেই বাড়বে অপরাধের সংখ্যা। চুরি-ছিনতাই বাড়বে। কিছুদিন আগেই এমন আশঙ্কা করে পুলিস-প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bannerjee)। ধীর গতিতে ট্রেনের (Train) সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রেক্ষিতে রেল পুলিশ অপরাধ দমনে একধাপ এগিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। ট্রেন ও স্টেশনে চিহ্নিত অপরাধীদের (Criminal) বর্তমান অবস্থান কোথায় তার তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে রেল পুলিশ (RPF)।
হাওড়া রেল পুলিশ সুপার এম কন্নান জানান, এজন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রেল চত্বরে নানা ধরনের অপরাধী নানা অপরাধ সংগঠিত করে। চুরি, ডাকাতি ছাড়া আরও ভয়ানক মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে বেহুঁশ করে যাত্রীর সর্বস্ব লুঠ করার মতো অপরাধ। রেকর্ডেড ক্রিমিনালদের লিস্ট ও ছবি দিয়ে প্রতিটা থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। অপরাধীদের নির্ধারিত থেকে রেইড করা, নজর রাখার কাজ শুরু করেছে রেল পুলিশ। চোরাই সামগ্রী বিক্রি করা হয় এমন রিসিভারদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদের বর্তমান গতিবিধি পুলিশের নজরে থাকছে। এইসব আগাম প্রস্তুতির মাঝে বর্তমানে চালাচলকারী স্পেশাল ট্রেনগুলির উপর নজরদারি চলছে। সাদা পোশাকের পুলিশের টহলদারী জারি রয়েছে। রাতে ও দিনে স্টেশন ফাঁকা হলেও নজরদারি চলছে।
আরপিএফ এই মুহূর্তে টিকিটের সাইবার অপরাধ দমনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়তা দেখিয়েছে। কলকাতা ও শহরতলি চাঁইদের গ্রেপ্তার করেছে আরপিএফ। পাশাপাশি রেলসামগ্রী চুরি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে রেল। ট্র্রেন চলাচল নিয়মিত হলেই অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠবে। হাতে পয়সা না থাকায় অপরাধ প্রবনতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। সেই স্রোত রুখতে পুলিশকে অতি মাত্রায় সক্রিয় থাকতে হবে বলে মনে করেছেন পুলিশ সুপার এম কন্নান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.