সুব্রত বিশ্বাস: রেলের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে চরম বিপদের মুখে পড়লেন হাজার হাজার যাত্রী। কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শনিবার থেকে আচমকা উত্তরবঙ্গগামী বেশকিছু ট্রেন বাতিল করে রেল। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা। পাশাপাশি বাতিল হওয়া ট্রেন সম্পর্কে তাঁদের ঠিকঠাক সময়ে খবর দেওয়া হয়নি বলেও অনেকে অভিযোগ করেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে আপ ও ডাউন হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস আর শিয়ালদহ-নিউ কোচবিহার এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। রবিবার থেকে বাতিল থাকছে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-পুরী এক্সপ্রেস, সোমবার থেকে বাতিল কামাখ্যা-রাঁচি এক্সপ্রেস।
এপ্রসঙ্গে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে রেলের পরিকাঠামোগত নির্মাণের কারণেই এই ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত। যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি উত্তরবঙ্গ সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন যাত্রীরা। বলছেন, এটা হঠকারিতা। গরমে এমনিতেই উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলিতে টিকিটের প্রচণ্ড চাহিদা থাকে। তাই অনেকদিন আগে থাকতেই রির্জারভেশন টিকিট কেটে নেন যাত্রীরা। সেখানে কোনও রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও এইভাবে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত অনৈতিক।
তবে শুধু উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনই নয়, সমস্যা তৈরি হচ্ছে পুরীগামী ট্রেনগুলির টিকিট বাতিল নিয়েও। ঘূর্ণিঝড় ফণীর পরে পুরী ও জগন্নাথ এক্সপ্রেস-সহ অসংখ্য ট্রেন খুরদা রোড পর্যন্ত যাচ্ছে। ফলে পুরীর জন্য কাটা ট্রেনের টিকিট বাতিল করছেন যাত্রীরা। কিন্তু, বাতিল করার সময় রেল কর্তৃপক্ষ এসির জন্য ১৯০ টাকা ও স্লিপারের জন্য ১২০ টাকা কেটে নিচ্ছে। এনিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বহু জায়গায় বচসাতেও জড়িয়ে পড়ছেন রিজার্ভেশন ক্লার্করা। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন সম্পূর্ণ পথ যাত্রা না করলে বাতিল করা টিকিটের পুরো টাকাটাই ফেরত পাওয়া যায়।
যদিও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, রেল খুরদা রোড পর্যন্ত ট্রেন চালাচ্ছে। ফলে কেউ সেই পর্যন্ত যাত্রা করলে বাকি অংশের টাকা ফেরত পাবেন। তবে একেবারে যাত্রা না করলে রেলের টিকিট বাতিলের আইন মেনে টাকা কাটা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.