সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আবহে শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে ধীরে ধারী বাড়ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ঠিক এই পরিস্থিতিতে রেলকর্মীরা কি সুরক্ষিত? তা রেলের কাছে জানতে চেয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি রেলে কত কর্মী করোনা আক্রান্ত ও মারা গিয়েছেন তা জানতে চেয়েছিলেন সাংসদ ডাক্তার শান্তনু সেন। শান্তনুবাবুর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পরিসংখ্যান স্পষ্ট করেছে রেল।
বোর্ড জানিয়েছে, দেশজুড়ে রেলের সব সেক্টরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৭০৪। মারা গিয়েছেন ৩৩৬ জন কর্মী। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ রেলগুলিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। রেল বোর্ড জানিয়েছে পূর্ব রেলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫১ জন। মৃত ১৬ জন। এই পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে রেলের কর্মী সংগঠন পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন। পূর্ব রেলে মৃতের সংখ্যা বেশি বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, করোনা হাসপাতাল অর্থোপেডিক হাসপাতালে মারা গিয়েছেন কেউ কেউ যাদের টেস্ট হয়নি। এই রেলে প্রথম মৃত দুজনের করোনা মৃত্যুর রেকর্ড হয়নি। দক্ষিণ পূর্ব রেলে আক্রান্ত ৫৪৫ জন। মৃত ১০। মেট্রো রেলে আক্রান্ত ৭৮ জন। মৃতের সংখ্যা এক।
রেলে সাবচেয়ে বেশী সংখ্যক আক্রান্ত দক্ষিণ মধ্য রেলে ২২০২ জন। মৃত হয়েছে ৫৪ জনের। এরপর সংখ্যার নিরিখে মধ্য রেল। আক্রান্ত ১৩২৩। মৃত ৬৭। উত্তর রেলে আক্রান্ত ১৩০৭, মারা গিয়েছেন সতেরো জন। দক্ষিণ রেলে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪৫, ওই রেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন একুশ জন। বিহারে অবস্থিত পূর্ব মধ্য রেলে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৩, যার মধ্যে মারা গিয়েছেন ১৪ জন। মহারাষ্ট্রতে আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে উদ্বেগের থাকলেও পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য রেলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৯৯৪ ও ৩৭০।
চিকিৎসক শান্তনু সেন জানিয়েছেন, রেল-রাজ্য যৌথ পরিকাঠামোয় ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা চলছে। সেক্ষেত্রে রেলকর্মীরা নিজের কতটা সুরক্ষিত তা জানতে চায় রাজ্য। রেলকর্মীরা মোটেই সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করেছে কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সাধারণ সম্পাদকদ্বয় অমিত ঘোষ ও আশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, একশো শতাংশ কর্মীদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। লাইনের কাজে দূরত্ব রাখতে পারছেন না কর্মীরা। সংগঠন বারবার আপত্তি করায় কান দেয়নি কর্তারা। ফলে বাড়ছে সংক্রমণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.