ফাইল ছবি
নিরুফা খাতুন: প্যাচপ্যাচে গরমের মাঝে এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতার একাধিক এলাকা। হালকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হাওড়া ও হুগলির একাধিক জায়গাতেও। তবে এই বৃষ্টি যে শুধু কয়েক মুহূর্তের স্বস্তি, তা স্পষ্ট করে দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবারের মতো আজ, মঙ্গলবারও জানিয়ে দেওয়া হল যে আপাতত তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে রাজ্যে বর্ষাও প্রবেশ করবে না বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, আগামী ১০ জুন অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলাতেই গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা খানিকটা কম হলেও আর্দ্রতাজনিক অস্বস্তি থাকবেই। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়া দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে বৃষ্টি হলেও আপাতত অস্বস্তি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। মূলত উত্তর-পশ্চিমের শুকনো বাতাস প্রভাব বিস্তার করবে। সঙ্গে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও চরম উঠবে উপকূলের জেলাগুলিতে।
শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে পার্বত্য জেলা ছাড়া উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তেও পারে বলে অনুমান আবহবিদদের।
তবে বাংলায় বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় ৭ জুন হলেও এবার নির্ধারিত সময়ের পরই তা আসবে বলেই জানানো হয়েছে। পয়লা জুন কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার স্বাভাবিক নিয়ম। তার পাঁচ দিন পরেও এখনো মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেনি। কেরলে বর্ষা প্রবেশের পর বোঝা যাবে এ রাজ্যে কবে বর্ষার মুখ দেখা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.