নব্যেন্দু হাজরা: শরতেও যেন ভরা শ্রাবণ। গত শনিবার থেকেই টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। রবিবার রাত থেকে আরও বাড়ে দুর্ভোগ। সোমবার গোটা দিন বৃষ্টিতে ভেজে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। আজ, বুধবারও সেই পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হবে না বলেই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দিনভর চলবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী ও বিক্ষিপ্ত বর্ষণ।
এদিন সকাল থেকেই হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, কলকাতার পাশাপাশি এদিন মাঝারি ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই জেলাগুলিতে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতাও। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামেও এদিন ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হওয়ার আশা রয়েছে। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
হাওয়া অফিসের (Alipore Weather Office) তরফে খবর, আগামী শনি-রবিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর ফের ঘনীভূত হতে পারে নিম্নচাপ। যার জেরে বৃষ্টি হতে পারে যথেষ্টই। শুধু তাই নয়, সোমবার আরও একটি ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্তেরও অভিমুখ থাকবে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। ফলে জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আশঙ্কা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাতে। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে প্রকৃতির এহেন খামখেয়ালিপনায় কপালে ভাঁজ পুজো থেকে ব্যবসায়ী, প্রত্যেকেরই। মন খারাপ আমজনতারও।
বর্ষাকাল বিদায় নিলেও পিছু ছাড়ছে না দুর্যোগ। মঙ্গলবার রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন মোট চারজন। আর এদিন জানা গেল, রূপনারায়ণ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মহিষাদলের দুই মৎস্যজীবীর। আবার নয়াগ্রাম, গোপিবল্লভপুরে হড়পা বানে ভোগান্তির শিকার স্থানীয়রা। জলস্তর বাড়তে থাকায় বেড়েই চলেছে আতঙ্ক। এদিকে লাগাতার বৃষ্টিতে ব্যাহত রেল পরিষেবাও। হাওড়া ও সাঁতরাগাছি কারশেডে জল জমে বিপত্তি। স্পেশ্যাল ট্রেন আপাতত নির্বিঘ্নে চললেও বাতিল করা হয়েছে দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.