সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে ধসের ফলে বন্ধ হয়ে গেল টয়ট্রেন পরিষেবা। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামার ফলে একাধিক জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, যে জায়গাগুলিতে ধস নেমেছে, সেগুলি পরিষ্কার করতে মঙ্গলবার গোটা দিনটাই সময় লাগবে। ফলে আজ দার্জিলিং-কার্শিয়াং শাখায় তীব্র যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকায় জারি হয়েছে সতর্কতা। আবহাওয়ার আরও অবনতি হওয়ার কারণে এলাকায় আবারও ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছিল দার্জিলিং ও কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। রবিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসে পড়ে মাটি। এর ফলে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। ফলে রংপং-কার্শিয়াং রুটে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে ব্যাহত হয়েছে টয়ট্রেন পরিষেবা। ধসের জায়গাগুলি পরিষ্কার শুরু হয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকেলের আগে এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ঘুম স্টেশনের কাছেও ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা।
[ আরও পড়ুন: এবার কাটমানির কোপে রেজ্জাক মোল্লার ছেলে, দায়ের অভিযোগ ]
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই আবহাওয়ার আরও অবনতি ঘটছে। এমনকী মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দার্জিলিং-সহ একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। ফলে ধসের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ় দম্পতির। পুবুং ফাটকের চসতাই ধুরা এলাকার পাহাড়ের গায়ে টিনের বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতেন প্রয়াত ধনবাহাদুর লোপচানের ছেলে কুমার লোপচান ও তাঁর স্ত্রী। রবিবার রাতের বৃষ্টিতে বাড়ির পাশে থাকা পাহাড়ে ধস নামে। কাদামাটি চাপা পড়ে ভেঙে যায় তাঁদের টিনের বাড়ি। তার নিচে পড়ে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ় দম্পতির। তবে সোমবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মঙ্গলবার সকালে হয়নি। এখনও পর্যন্ত ধসের ফলে কারও প্রাণহানি হয়নি বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
[ আরও পড়ুন: রোজভ্যালি কাণ্ডে এবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে সমন ইডির ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.