সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। তা অবিলম্বে রুখে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে সুর আরও চড়াল এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। শুক্রবার এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। আর শনিবার অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তিন পাতার চিঠি তাঁর অভিযোগ, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্যাতন চলছে। তাঁদের উপার্জনের অর্থ থেকে শুরু করে আধার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব রুখতে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র।
করোনা কাল থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বীরভূমের লড়াকু নেতা সামিরুল ইসলাম। সেই থেকে শুরু। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর আজও তিনি সেই কাজেই ব্রতী। সামিরুলের দায়িত্বজ্ঞান দেখে তাঁকে পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত কমিটির মাথায় নিয়োগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাংসদ অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে বাংলার এবং বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলেছেন। তাঁর দাবি, এবার থেকে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হোক। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা যে অভিযোগ তুলছেন, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হোক এবং এবিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত সমন্বয় রাখা হোক।
সামিরুলের দাবি, ২০১৪ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ তাঁর। বিশেষ করে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায় কাজ করতে যাওয়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রতিদিন আতঙ্কে কাটাচ্ছেন। করোনা কালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরিয়েছিল তাঁদের। সুবিধা-অসুবিধায় রাজ্য সরকারই সবচেয়ে সংবেদনশীল। তাই এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর এমন অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। তার জন্য পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, এই আবেদন সামিরুল ইসলামের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.