সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য! একদিকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একের পর এক গুলি ছুঁড়ে পালানোর পথ খুঁজছে দুষ্কৃতীরা তো অন্যদিকে তাদের ধরতে কার্যত প্রাণ বাজি রেখেছিলেন রানাঘাটের পুলিশ কর্মী রতনকুমার রায়। অকুতোভন এএসআই মান্ধাতার আমলের পিস্তল নিয়েই ধাওয়া করেছিলেন তাদের। পালটা চালিয়েছিলেন গুলি। সেই এএসআই রতনকুমার রায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নদিয়ার ব্যবসায়ী মহল। তাঁকেই নতুন ‘হিরো’ বলছেন স্থানীয়রা।
চেহারা তাঁর ভারির দিকে। ওজন ১০০-র বেশি। যা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বন্ধুদের মহলে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু মনের সাহস আর কাজ করতে চাওয়ার ইচ্ছেটাই যে শেষ কথা, চেহারা যে কোনও প্রতিবন্ধকতা নয় তা মঙ্গলবার বিকেলে প্রমাণ করে দিয়েছেন রতনবাবু। পুলিশি রিভলবার নিয়েই ছুটে গিয়েছিলেন দুষ্কৃতীদের ধরতে। তাঁর সাহসিকতাতেই উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা-গয়না।
এত বড় সাফল্যের পর রতন রায় তাঁর বাবার আশীর্বাদ এবং রানাঘাট থানার আইসি সঞ্জীব সেনাপতি অগন্য ভুমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলছেন, একটা কথাই মাথা ঘুরছিল। পুলিশের সম্মান বাঁচাতে হবে। যেভাবেই হোক মান রাখতে হবে। এএসআইয়ের দাবি, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সব পুলিশের এধরনের কাজে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.