সুব্রত বিশ্বাস: রেলের ফাঁকা আবাসনে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা। মহিলার চিৎকারে আবাসিকরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় চার যুবক। পরে ওই মহিলাকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করে। লিলুয়া রেল আবাসনে এই ঘটনার পর রেলকর্মীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেলুড় থানা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত সুনীল ও সঞ্জুকে এখনও আটক করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার পর রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদাসীনতাকে দায়ী করে বিক্ষোভে শামিল হন কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ, শুক্রবার ১২৮ নিউ জেনিনস রোডের তিনতলা আবাসনে এক মহিলাকে নিয়ে আসে বহিরাগত চার যুবক। এরপর তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় নির্যাতিতার চিৎকারে আবাসিকরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, ছ’টি আবাসনের মধ্যে পাঁচটি আবাসন ফাঁকা। একটি আবাসনে এক মহিলা রেলকর্মী থাকেন। আবাসনগুলি ফাঁকা থাকার সুযোগে দুষ্কৃতীরা বহিরাগত মহিলাকে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ।
আবাসিকদের অভিযোগ, আবাসনগুলি ফাঁকা থাকায় দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। বহিরাগত মহিলাদের নিয়ে এসে শ্লীলতাহানি, মদ, সাটটা, জুয়ার মতো বেআইনি কাজ চলে রোজই। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আবাসনের মধ্যেই বেলুড় থানা, আরপিএফ ক্যাম্পাস তার মধ্যে এধরনের অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য কীভাবে কার মদতে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবাসিকরা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ছুড়ে দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, আবাসনগুলির গেট ভেঙে পড়ে গিয়েছে, গেট থাকলে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকতে পারবে না। বারবার আবেদনও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হুশ ফেরেনি। সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আর কে বিশ্বাস বলেন, যেখানে আবাসনের ভিতরে থানা, আরপিএফ আধিকারিক থাকেন সেখানে অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে ওঠে কি করে। ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে বেলুড় থানা। তাদের কথায়, দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলা ও অভিযুক্ত যুবকরা রঙ্গলি পাশে কুলিপট্টির বাসিন্দা। তাদের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.