সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পেশা বলতে মাছ ধরা। তাও গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের (South 24 Parganas) বাসিন্দা পুষ্প করের। বাড়ির পাশে নদীর খাঁড়িতে জাল ফেলে যা মেলে, তা দিয়েই কোনওরকমে অন্নের জোগান হচ্ছিল বহুকাল ধরে। তবে আচমকা একটিমাত্র মাছ এক লহমায় ঘুরিয়ে দিল পুষ্পদেবীর ভাগ্যের চাকা! রাতারাতি লক্ষাধিক টাকার মালিক হয়ে গেলেন বৃদ্ধা!
ব্যাপারটা ঠিক কী? অন্যান্যদিনের মতোই এদিনও খাঁড়িতে জাল ফেলে এসেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে গিয়েছিলেন জাল তুলতে। জাল টানতেই হতবাক পুষ্প কর। কারণ, ততক্ষণে তিনি টের পেয়েছেন রোজকার মতো জালে চুনোপুঁটি নয়, যা ধরা পড়েছে, তা রাঘববোয়াল না হয়ে যায় না। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বেশ কয়েকজনের সহযোগিতায় জাল টেনে তোলেন বৃদ্ধা।
দেখা যায়, ধরা পড়েছে পেল্লাই সাইজের এক ভোলা। মাছ দেখতে খাঁড়ির পাশে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। প্রায় ৬০ কেজি ওজনের ভোলা মাছের খবর পৌঁছে যায় কাকদ্বীপ বাজারে। পরের দিন ভোরের আলো ফুটতেই কাকদ্বীপ বাজারের আড়তদাররা পৌঁছে যান পুষ্পদেবীর কাছে। দর কষাকষির পর ৬ হাজার টাকা কিলো হিসেবে বিশালাকার মাছটি বিক্রি করেন ওই বৃদ্ধা।
এতদিন প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়েই দুই ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু এই ভোলামাছটির দৌলতে আচমকা একদিনেই লক্ষাধিক টাকা পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পান পুষ্পদেবী। কিভাবে খরচ করবেন তা-ই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। কিন্তু বিশালাকার ওই মাছ কীভাবে ধরা পড়ল বৃদ্ধার জালে? মনে করা হচ্ছে, জাহাজের ধাক্কায় মাছটি পাড়ের দিকে চলে এসেছিল। না হলে এত বড় সামুদ্রিক মাছ খাঁড়ির জলে পাওয়ার কথা নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.