সুব্রত বিশ্বাস: রেলের পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে আয় বাড়াতে যখন ফ্রেট করিডর তৈরি, ঠিক তখনই চলন্ত মালগাড়ি থেকে ২৮৮ বস্তা চাল নামিয়ে নিল দুষ্কৃতীরা। আর এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রেল বোর্ড। চুরির ঘটনা আরপিএফ ডিজির কাছেও গিয়ে পৌঁছেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আইজি শরৎচন্দ্র পারি বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চক্রধরপুর ডিভিশনে ঝাড়সুগুদাতে দিনেদুপুরে মালগাড়ি থেকে ২৮৮ বস্তা চাল নামিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল ঝাড়সুগুদা আরপিএফ পোস্ট থেকে ১৫০ মিটার দূরেই। লাইনের পাশে জঙ্গলের মধ্য থেকে এই চাল উদ্ধার করে রেল পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইকও আটক করা হয়। এর পরেই তারাই অভিযোগ দায়ের করে। যদিও এই চুরি রোখার সব দায় আরপিএফের। ফলে তাদের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজি বলেন, চুরির কথা আরপিএফ জেনে ছিল আগেই। দূর থেকে তারা দুষ্কৃতী ধরতে নজর রাখছিল।
সেই সময় জিআরপির নজরে এই চুরির বিষয়টি এলে তারাই চোরাই চাল আটক করে কেস করে। পরে আরপিএফ অবশ্য আলাদা একটি মামলা দায়ের করে কমান্ড্যান্ট তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে প্রকৃত বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর দোষ প্রমাণ হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। উল্লেখ্য গত বছর রেলের বুকিং পণ্য চুরির কেস হয় ৪৬৯টি। আর্থিক ক্ষতি সওয়া চার কোটি টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.