সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসঙ্গে ৩২ জন কর্মী কোভিড আক্রান্ত। তাও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। এই অবস্থাতেও ১০০ শতাংশ কর্মী হাজিরা নিয়ে কাজ চলছে ইছাপুরের রাইফেল ফ্যাক্টরিতে (Ichapore Rifle Factory)। অর্ডিন্যান্স বোর্ড সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই কারখানায় কাজ চলছে। তাও কীভাবে এতজন কোভিড আক্রান্ত হলেন, কোনও কূলকিনারা পাচ্ছেন না আধিকারিকরা। যদিও তাঁদের দাবি, ১৪ জন কর্মী সংক্রমিত। যাঁদের মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কর্মী ক্ষোভ বাড়ছে রাইফেল ফ্যাক্টরিতে।
জানা গিয়েছে, ইছাপুরের ওই অঞ্চলকে আগেই কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। তা সত্ত্বেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করেনি বলে অভিযোগ। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে ইছাপুর রাইফেল এবং মেটাল এন্ড স্টিল কারখানায়। একটা শিফটে কাজ চললেও, এই পরিস্থিতিতে ১০০ শতাংশ হাজিরার নিয়ম মানতে পারছেন না কর্মীরা। শুধুমাত্র রাইফেল ফ্যাক্টরিতেই ৩৪০০ কর্মী রয়েছেন। মেটাল কারখানাতেও প্রায় হাজারের বেশি কর্মী। ট্রেড ইউনিয়নগুলি জেলা প্রশাসন এবং বারাকপুর কমিশনারেটে চিঠি দিলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ঝুঁকি নিয়েও কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা।
ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষের একগুঁয়েমির জন্যই ভুগতে হচ্ছে কর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, কারখানার ক্যান্টিনে কোনও খাবার রান্না করা হচ্ছে না। কিন্তু ক্যান্টিনের ২০-২২ জন কর্মীকে রোজ আসতে হচ্ছে। যার ফলে ওই কর্মীরা তো বটেই, ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদেরও। কর্তৃপক্ষ তাঁদের হাজিরাও বন্ধ করেনি। উত্তর বারাকপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক মলয় ঘোষ কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, কর্মীদের কোভিড পজিটিভ হওয়ার কথা প্রশাসনকে জানায়নি অর্ডিন্যান্স বোর্ড। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে কোনও চিঠি বা নথি পাননি। তারা কিছুই জানায়নি প্রশাসনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.