দীপঙ্কর মণ্ডল: উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা চলাকালীন হুগলির স্কুলে শিক্ষিকার সাধভক্ষণকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় নড়ে বসল স্কুলশিক্ষা দপ্তর। ঠিক কী ঘটেছিল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হল জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে। স্কুলশিক্ষা (Education Department) দপ্তর জানতে চায়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কারা বেআইনিভাবে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। পরে স্কুলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়, একজনের বেশি প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢোকা যাবে না।
গত বুধবার হুগলির (Hooghly) মাহেশ পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের টিচারস রুমে এক অন্তসত্ত্বা শিক্ষিকার সাধভক্ষণ অনুষ্ঠান হয়। রীতিমত ছোটখাটো অনুষ্ঠান করে কাঁসার থালায় ভাত–তরকারি, হরেক মিষ্টান্ন, নতুন শাড়ি, ধূপ,দীপ-সহ বরণ ডালা সাজিয়ে হয় সাধভক্ষণ অনুষ্ঠান। রাজ্যের প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ২০ তারিখে ছিল দর্শন, সমাজতত্ত্ব ও বাণিজ্যিক আইনের পরীক্ষা। তারমধ্যেই পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে শাঁখ বাজিয়ে, উলু দিয়ে অনুষ্ঠানের জেরে পরীক্ষার পরিবেশে খানিকটা বিঘ্ন ঘটে।
সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা ভাইরাল (Viral) হয়। খবর যায় বিকাশ ভবনে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। পরীক্ষা চলাকালীন কিভাবে স্কুলে অনুষ্ঠান হল তার কৈফিয়ত চেয়েছেন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। ওইদিনের ঘটনায় শিক্ষিকাদের মধ্যে প্রবল বিবাদ হয়। কয়েকজনকে সাধভক্ষণে না ডাকার ফলেই এই বিবাদ। যাঁদের ডাকা হয়নি, তাঁরা দল বেঁধে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে বিহিত চান। কেন তাঁদের ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে চেঁচামেচি করেন। সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শিক্ষিকারা পালটা চিৎকার করেন। মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষিকা।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভানেত্রী। তিনি খবর পেয়েই স্কুলে যান। দ্রুত চিকিৎসা করানো হয় প্রধান শিক্ষিকাকে। পরে তিনি জানান, অনুমতি না নিয়েই সাধ ভক্ষণের অনুষ্ঠান হয়েছে। এবার এই ঘটনায় শিক্ষাদপ্তর রিপোর্ট চাওয়ায় ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারে মাহেশ পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.