অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ডিসেম্বরের শুরুতে সেভাবে জাঁকিয়ে ঠান্ডার দেখা মেলেনি। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে পারদ। রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা। তারই মাঝে এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ঘনিষ্ঠতার জেরেই কী দেহরক্ষী প্রত্যাহার? রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
অমূল্য মাইতি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের বাড়িতে হামলা হয়। অমূল্য মাইতি ওই হামলার নেপথ্যে সাংসদ মানস ভুঁইঞা ঘনিষ্ঠ এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তারপর থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল অমূল্য মাইতির (Amulya Maity) বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে আশঙ্কাই সত্যি হল। তাঁর দু’জন দেহরক্ষীকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। অমূল্য মাইতির দাবি, সাধারণত দেহরক্ষী মোতায়েন এবং প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে লেখালেখি হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাতে লিখিতভাবে দেহরক্ষী প্রত্যাহার করা হয়নি বলেই দাবি অমূল্যবাবুর।
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেই কী তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীতে কোপ পড়ল? সে প্রশ্নের উত্তর যদিও সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন অমূল্যবাবু। তাঁর দাবি, “আমি শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary) ঘনিষ্ঠ কিনা জানিনা। তবে আমি শুভেন্দু অধিকারীর শুভানুধ্যায়ী। অধিকারী পরিবারের সঙ্গে আমার গত ৪০ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে। আপদে-বিপদে প্রচুর সাহায্য করে।” তবে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রত্যাহারের ঘটনা দলেরই কারোর ইন্ধন রয়েছে বলেই মনে করছেন জেলাপরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনার নেপথ্যে মানস ভুঁইঞাকেই দায়ী করছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.