সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পেটের তাগিদে জঙ্গলে যাওয়াই কাল। সুন্দরবনের গভীরে খালে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে এক মৎস্যজীবী। স্ত্রীর চোখের সামনেই গভীর জঙ্গলে ওই মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল দক্ষিণরায়। এখনও পর্যন্ত ওই মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও বনকর্মীরা মৎস্যজীবীর খোঁজে জঙ্গলের উদ্দেশে ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছেন।
নামখানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গণেশ নগরের অধিকারী পাড়ার বাসিন্দা বছর ছাপ্পান্নর অনেশ্বর ফকির। তিনি পেশায় মৎস্যজীবী। স্ত্রী ভগবতী ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের ঠাকুরাণ নদীর ধারে কুস্তরি খালে কাঁকড়া ধরতে যান। পরিবারের সঙ্গে দম্পতির ফোনে রবিবার সকালেও কথা হয়। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পুত্রবধূ সীতা বিশ্বাস ফকির জানান, রবিবার বিকেলে শাশুড়ি ভগবতীদেবী ছেলেকে ফোন করেন। শ্বশুরমশাইকে বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়ার খবর জানান।
ভগবতীদেবী জানান, খালে কাঁকড়া ধরার সময় তাঁর চোখের সামনে থেকে স্বামীকে টেনে নিয়ে যায় বাঘ। তারপরই সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। এই খবর পৌঁছনো মাত্রই ফকির পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। বনদপ্তর ও কাকদ্বীপ থানায় রাতেই খবর জানানো হয়। বাঘের আক্রমণের শিকার ওই নিখোঁজ মৎস্যজীবী এখন কোথায় আছেন আর কেমনই বা আছেন, তা ভেবেই চিন্তিত পরিবারের লোকজন। তাঁকে উদ্ধারে ইতিমধ্যেই পুলিশ ও বনকর্মীরা জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মৎস্যজীবীর খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.