প্রতীকী ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: পুজোর আগেই অভিনব কায়দায় মহিলাদের হয়রানির অভিযোগ। এধরণের হয়রানির অভিযোগে নৈহাটি জিআরপি শ্যামনগরের একটি হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক হিরন্ময় মাইতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বেলঘরিয়া থেকে আপ গেদে লোকলে নিমতাবাসী এক দম্পতি চড়েন। এরপর পলতা থেকে এক ব্যক্তি একই ট্রেনে ওঠেন। এরপর মহিলার পাশেই বসে পড়েন। এরপর মহিলার অলক্ষ্যে নিজেকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন। এরপর সেই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধু ও পরিচিতদের ছড়িয়ে দেন। ছবির সঙ্গে লেখেন, পুজোর আগে ‘পুজো স্পেশাল’ তুলেছি। মজা নিচ্ছি খুব। ইত্যাদি। শুধু এতেই ক্ষান্ত হয়নি তার বেয়াদপি। কয়েকজন উত্তর দেয়, ‘কপাল দেখছি। এই বয়সে মজা নে…।’ ইত্যাদি।
এই মেসেজ চালাচালি ও নিজের ছবি হঠাৎই নজরে পড়ে যায় ওই মহিলারই। তিনি বুঝে নেন, তাঁরই অলক্ষ্যে সেলফি নিয়ে অসভ্যতা করছেন তাঁরই পাশের বছর সাতচল্লিশের যাত্রী। মহিলা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। ট্রেনেই ছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। অন্য যাত্রীরাও প্রতিবাদে সরব হন। প্রমাণ যাতে মুছতে না পারে সেজন্য তাঁরা মোবাইলটিও কেড়ে নেন। এরপর তাকে নৈহাটিতে নামিয়ে জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা ও তাঁর স্বামী।
ধৃত ব্যক্তি শ্যামনগরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক। এই ঘটনার পরই রেল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ধৃত শিক্ষকের রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। রেল পুলিশের ডিএসপি নরেন্দ্রনাথ দত্ত জানান, একজন হাই স্কুলের শিক্ষকের পক্ষে এই ধরণের অপরাধ করাটা শোভা পায় না। অভিযোগ পাওয়ামাত্র তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত মোবাইল। তবে এধরনের অপরাধ খুব একটা দেখা যায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষও তার এই কাজের প্রতিবাদে সরব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.