প্রতীকী ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: ‘রক্ষকই যখন ভক্ষক।’ রেল সম্পত্তি পাহারা দেওয়া যাঁদের কাজ, সেই আরপিএফ কর্মীরাই চুরি করল রেলের সামগ্রী। চুরিতে অভিযুক্ত সাত জন আরপিএফ কর্মীকে সোমবার রাতে বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন থেকে গ্রেপ্তার করেছে অরপিএফের বিশেষ টিম। অভিযুক্তদের হাওড়া আদালতে হাজির করতে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আসানসোল আদালতে আবেদন জানিয়েছে রেলরক্ষী বাহিনী।
চিত্তরঞ্জন কারখানায় রেল ইঞ্জিন তৈরিতে ব্যবহারের জন্য রাখা তামার সরঞ্জাম চুরি গিয়েছিল গত বছর ২০ মে। ২৭ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম স্থানীয় জিএসডি গোডাউন থেকে চুরি যাওয়ায় নড়ে বসেন পূর্ব রেলের আরপিএফ কর্তারা। এত বড় চুরিতে স্থানীয় আরপিএফ কর্তাদের তদন্তে রাখা হয়নি। তদন্তের ভার পড়ে লিলুয়ার ভারপ্রাপ্ত আরপিএফ আধিকারিকদের উপর। তারপর প্রায় সাত লক্ষ টাকার চোরাই মাল উদ্ধার হয় লিলুয়ার বজরংবলি মার্কেটের গোডাউন থেকে। রেলের চোরাই মাল কেনার অপরাধে লিলুয়া ও বাঁকুড়া থেকে চার কুখ্যাত রিসিভারকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফ। চুরিতে যুক্ত মোট বাইশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে। যাদের মধ্যে ন’জন আরপিএফ কর্মী। এদের মধ্যে দু’জনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সোমবার চিত্তরঞ্জনের বিভিন্ন পোস্ট থেকে আরও সাতজন আরপিএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফের তদন্তকারী দল। গ্রেপ্তার হওয়া হেড কনস্টেবল এ কে চৌধুরি, শোভাকান্ত, আর এন কুমার, হেমন্ত কুমার, এম কে সিং, গুরুদেব ও আর কে রঞ্জন কে আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে তদন্তকারী দলটি।
এদিকে, বড়সড় এই অপরাধের কিনারা হওয়ায় স্বস্তিতে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে চুরির ঘটনায় বিভাগীয় কর্মীদের যুক্ত থাকায় রীতিমতো মুখ পুড়েছে আরপিএফয়ের। কীভাবে এহেন ঘটনা সকলের অজ্ঞাতে ঘটাল অভিযুক্তরা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, চুরি যাওয়া রেলের যন্ত্রাংশ নিয়ে একাংশ ব্যবসায়ী যে দিব্বি করবার করছে সেই কথাও উঠে এসেছে এই ঘটনায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.