ব্রতীন দাস: চন্দনার হোম ঘিরে সামনে এল নয়া তথ্য। শিশুদের কান্না থামাতে দেওয়া হত কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ! জলপাইগুড়ির কেরানিপাড়ায় চন্দনা চক্রবর্তীর হোম ‘বিমলা শিশু গৃহ’ থেকে প্রচুর ওষুধ উদ্ধার করেছে পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় দল৷ উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে এমন কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলি প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। অথচ সেগুলি মজুত ছিল শিশুদের এই হোমটিতে। যা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে সিট্রাজিনের মতো ওষুধও মিলেছে৷ যা দেখে অনেকেরই অনুমান, হোমে নতুন আসা শিশুদের কান্না থামাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত৷ আর এই অনুমান যদি সত্যি হয়, তবে তার ফল যে ভয়াবহ তা মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এইসব ওষুধের মাত্রা কখনওই একটা শিশুর শরীর সহ্য করতে পারে না। আর এখানে আদৌ কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়া হত কি না তা একটা বড় প্রশ্ন। তবে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই বিপুল পরিমাণ মজুত থাকা ওষুধ কীভাবে সিআইডির নজর এড়িয়ে গেল।
এর আগে চন্দনার ‘আশ্রয়’ হোমে ‘কুমারী মা’-এর খোঁজ মিলেছে৷ শুধু তাই নয়, যেখানে আঠারো বছরের বেশি বয়সী আবাসিকদের থাকার কথা, সেখানেই হদিশ মেলে নাবালিকাদের৷ অনিচ্ছুক অন্তঃসত্ত্বাদের হোমে এনে প্রসব করিয়ে টাকার বিনিময়ে সন্তানদের রেখে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। ওষুধের পাশাপাশি চন্দনার হোম থেকে বেশকিছু ‘সন্দেহজনক’ নথিও উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় দল। দিল্লি থেকে ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইট’-এর দুই সদস্য প্রিয়ঙ্ক কানুনগো এবং যশোবন্ত জৈন চন্দনার হোম নিয়ে তদন্তে এসেছেন৷ প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির শিশু পাচার কাণ্ড সামনে আসতেই দেশের সমস্ত হোমকে প্রতি মাসের দশ তারিখের মধ্যে তাঁদের দফতরে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.