ছবি: প্রতীকী
কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: ফের মুর্শিদাবাদে শুটআউট। এবার গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। স্বর্ণ ব্যবসায়ী কাকার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয় ওই কিশোর। পেটে গুলি লাগে তার। আহত অবস্থায় বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাকে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের খাগড়ার বাসিন্দা উৎপল সেন। দৌলতাবাদে তাঁর একটি সোনার গয়নার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন রাতেই স্কুটিতে চড়ে ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই ব্যবসায়ী। রবিবার রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্কুটিতে চড়ে ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে দৌলতাবাদ থেকে বহরমপুরের খাগড়ার ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বহরমপুরে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় মুর্শিদাবাদ ও দৌলতাবাদ থানার সীমান্তবর্তী বালিরঘাট এলাকায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। স্কুটি থেকে পড়ে যান কাকা ও ভাইপো। আতঙ্কে দৌড়তে থাকেন ব্যবসায়ী উৎপল সেই এবং তাঁর ভাইপো। পিছন থেকে ওই দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পান ব্যবসায়ী উৎপল সেন। তবে তাঁর ভাইপোর পেটে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। এদিকে, ততক্ষণে কাকা-ভাইপোর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। তাঁরাই ওই কিশোরকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরকে। সেখানেই আপাতত ভরতি রয়েছে গুলিবিদ্ধ ওই কিশোর। তার কাকা স্বর্ণ ব্যবসায়ী উৎপল সেনও অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে ব্যবসায়ীর।
কিন্তু কী কারণে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে টার্গেট করল দুষ্কৃতীরা? ব্যবসায়ী উৎপল সেনের কাছ থেকে কিছুই লুট করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। তাই অন্য কোনও কারণে হামলা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.