প্রতীকী ছবি।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাতে পর পর গুলির শব্দ। কেঁপে উঠল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ও তার আশপাশের এলাকা। ভেঙে পড়ল সৌরশক্তি চালিত সরকারি পথবাতিও। আর তার পরেই শুরু হল সংঘর্ষ। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কাঁকসা থানার গোপালপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর বড়কালী মন্দিরের পাশে সঞ্জয় লায়েক এবং প্রদ্যুৎ লায়েকের পরিবারের মধ্যে বাড়ির পাশেই একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। তা নিয়েই বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে শুরু হয় দুপক্ষের বিবাদ। সেই বিবাদ থেকেই পর পর গুলিবর্ষণ এবং হাতাহাতি।
আচমকা এমন অশান্তি দেখে প্রতিবাদ করেন পঞ্চায়েত সদস্যর (Panchayat member) ভাই। প্রতিবাদ করতে গেলে মেরে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় কাঁকসা (Kanksa) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্য চন্দনা পালের অভিযোগ, “আমার বাড়ি এখানে হলেও আমি গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই পার্শ্ববর্তী এলাকার সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতে আমার মামা সঞ্জয় লায়েক গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে চিৎকার করেন। দেখেন প্রদ্যুৎ লায়েক বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পঞ্চায়েতের সরকারি সৌরশক্তি চালিত পথবাতিতে। তার পরেই আমার ভাই কালু পাল প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও মারধর করে প্রদ্যুৎ লায়েক। আমি তৎক্ষণাৎ পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকদের বিষয়টি জানাই। পুলিশকেও জানাই।”
প্রদ্যুৎ লায়েকের মা রমা লায়েকের অভিযোগ, “আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। কাঞ্চনদের সঙ্গে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। সেই জমিও কেড়ে নিতে চাইছে। বাড়িও কেড়ে নিতে চাইছে। ওঁরা রাতের অন্ধকারে নানান অসামাজিক কাজ করে। অবৈধভাবে মদ বিক্রি করে। আর আমার ছেলেকে ফাঁসাচ্ছে।” এই বিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়জিৎ মণ্ডল বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিবাদ (Land dispute) এই ঘটনা। তবে বিবাদ থাকতেই পারে কিন্তু প্রদ্যুৎ লায়েকের এভাবে গুলি চালিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে অপরাধ করেছে। ওই আগ্নেয়াস্ত্রও (Arms) বেআইনি। এলাকায় নানান অসামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকে প্রদ্যুৎ। আমরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ দায়ের করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.