হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র
সুব্রত বিশ্বাস: বড়সড় বিপর্যয় হাওড়া-সাঁতরাগাছির রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থায়। নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে রবিবার। সোমবার থেকে সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সিগন্যাল ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যত আর কাজ করে না সিগন্যাল ব্যবস্থা। ফলে যাত্রী পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়ে। ব্যাহত হয় হাওড়া-খড়্গপুর শাখার ট্রেন চলাচল। একের পর এক দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন বাতিল হতে থাকে। এদিন কমপক্ষে ২০০ লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে বলে খবর। বহু স্টেশনে, মাঝ রাস্তায় ট্রেন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। চূড়ান্ত অচলাবস্থা দেখা যায় অনেক স্টেশনে। ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় যাত্রীদের মধ্যে। কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা হবে? সেই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে এদিন বিকেল পর্যন্ত বার্তা পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, হাওড়া-খড়্গপুর শাখার সাঁতরাগাছিতে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ হয়। সোমবার থেকেই সিগন্যাল ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। বহু স্টেশনেই ট্রেন আটকে যায়। গন্তব্যে যেতে সমস্যা হয় যাত্রীদের। সোমের পর মঙ্গলবার এই যাত্রী ভোগান্তি আরও ব্যাপক আকার নেয়। সাঁতরাগাছি স্টেশনের রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। একের পর এক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হতে শুরু করে। হাওড়া স্টেশনেও পরিষেবা একসময় ভেঙে পড়ে। যাত্রীরা গতকাল রাত থেকেই স্টেশন চত্বরে অপেক্ষা করছিলেন। মঙ্গলবারও একের পর এক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের মধ্যেও বিক্ষোভ চলে।
বহু স্টেশনেই ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। হাওড়া স্টেশনে ঢোকার আগে টিকিয়াপাড়ায় সিগন্যালে দীর্ঘক্ষণ একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। বহু যাত্রী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন ধরে হাওড়া ও সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌঁছেছেন। শুধু তাই নয়, রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় সড়কপথে যাত্রীদের চাপ পড়ে। স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালকরা সুযোগ বুঝে আকাশছোঁয়া দর হাঁকতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। বহু যাত্রীই অনেক টাকা খসিয়ে এদিন গন্তব্যে গিয়েছেন বলে খবর। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে কবে? কবে এই যাত্রী হয়রানি শেষ হবে? সেই বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.