সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: সাতসকালে রক্তারক্তি কাণ্ড শিলিগুড়িতে। সুভাষপল্লির একটি আবাসন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহকর্তা ও পরিচারিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ। দু’জনেই ভরতি শিলিগুড়ি হাসপাতালে। পরিচারিকার অভিযোগ, গৃহকর্তা তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। বাধা দেওয়ার ধারালো অস্ত্রে কোপ মেরেছেন তিনি। গৃহকর্তার পালটা দাবি, ওই পরিচারিকা তাঁর ফ্ল্যাটে চুরি করার চেষ্টা করছিলেন। ধরে ফেলাতেই আক্রান্ত হন তিনি। ঘটনার তদন্তে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরি।
[সম্ভ্রম বাঁচাতে শ্বশুরকে খুন, স্বামীর সঙ্গে ছক কষে দেহ লোপাটের চেষ্টা পুত্রবধূর]
মাস চারেক হল। শিলিগুড়ি সুভাষপল্লির একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন আদিত্য রায়। পেশায় তিনি টোটো চালক। ওই ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন আদিত্য। তাঁর স্ত্রী আবার আইনজীবী। আদিত্যবাবুর ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করেন শম্পা দাস নামে এক তরুণী। আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আদিত্য রায়ের স্ত্রী কোচবিহারে গিয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরে ফ্ল্যাটে একাই রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে যথারীতি আদিত্যবাবুর ফ্ল্যাটে কাজ করতে এসেছিল পরিচারিকা শম্পা। কিন্তু, সাড়ে আটটা নাগাদ আদিত্যের ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার-চেঁচামিচির শব্দ পান তাঁরা। ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন, আদিত্য ও শম্পার মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি চলছে। দু’জনের শরীরই ধারালো অস্ত্রে কোপে ক্ষতবিক্ষত। প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ওই আবাসনের বাসিন্দা। পরে শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন তাঁরা। রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহকর্তা ও পরিচারিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। দু’জনকেই ভরতি করা হয়েছে শিলিগুড়ি হাসপাতালে। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
[মসুলে নিহতদের তালিকায় নদিয়ার খোকন, কান্নার রোল পরিবারে]
কিন্তু, কেন এমনটা ঘটল? পুলিশের দাবি, পরিচারিকা শম্পা দাস জানিয়েছেন, স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন গৃহকর্তা আদিত্য রায়। বাধা দিলে ধারালো কোপ মারেন তিনি। কিন্তু, তাহলে আদিত্য রায় কী করে রক্তাক্ত হলেন? পরিচারিকার দাবি, আদিত্যের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তখনই হয়তো কোনওভাবে গৃহকর্তা গায়ে আঘাত লেগে গিয়েছে। পরিচারিকার আভিযোগ অস্বীকার করেছেন আদিত্য রায়। তাঁর আবার দাবি, ফ্ল্যাটে চুরি করার চেষ্টা করছিল শম্পা। ধরে ফেলায়, তাঁর উপর হামলা চালান ওই পরিচারিকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরি অবশ্য জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর হয়নি।
[লক্ষাধিক টাকা, দামি মোবাইল পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন এই চা বিক্রেতা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.