অরূপ বসাক, মালবাজার : বন্যায় যেন সমস্যা না হয়, সেই কারণে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে ডুয়ার্সের বেশ কয়েকটি বাঁধ মেরামত করে সরকার। কিন্তু সরকারের সেই উদ্যোগ কার্যত বিফলে যাচ্ছে একদল চোরা কারবারিদের জন্য। কারণ, দিনে দুপুরে চুরি হচ্ছে বাঁধের লোহার জালি। দেখার কেউ নেই। যার ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে বাঁধ। যে কোনও সময় বড়সড় বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটছে মালবাজার মহকুমার ঘিস নদীর বাঁধে।
অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় এবং বহিরাগত বহু মানুষ বাঁধের লোহার জালি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘিস নদীর বাঁধের জালি কেটে নেওয়ার ফলে প্রায় দুশো থেকে তিনশো মিটার বাঁধের পাথর আলগা হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে বর্ষার সময় নদীর জল ধাক্কায় বাঁধ ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদী লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বহু গ্রাম, এমনকী রেল লাইনও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনের বেলায় মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাঁধের লোহার জালি। আর সেই লোহার জালি বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবিলম্বে চুরি আটকানো না গেলে, বাঁধের সমস্ত লোহার জালিই কেটে নিয়ে যাবে অভিযুক্তরা। আর এতে ভয়াবহ বিপদের কবলে পড়তে পারে ঘিস নদী-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। কারণ প্রতিবছর পাহাড়ি নদীর জলে ফুলে ফেঁপে ওঠে এই ঘিস নদী। সেইকারণেই প্রতি বছর নিয়মিত মেরামতি করা হয় এই বাঁধ। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা যে ভাবে প্রতিদিন লোহার জালি কেটে চুরি করছে, তাতে বাঁধের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় স্থানীয়রা।
ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা ঘোষ জানান, ‘আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম বাঁধের লোহার জালি কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোরা কারবারিরা। অবিলম্বে আমরা ব্যবস্থা নেব। অবিলম্বে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে ডেকে এবিষয়ে কথা বলা হবে। সেই সঙ্গে এলাকায় টহলদারির পাশাপাশি কারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের খোঁজ চালানো হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.