রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: অবশেষে কাশ্মীরে পাক সেনার গুলিতে শহিদ রাজীব থাপার কফিনবন্দি দেহ ফিরল আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে। আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে বাড়ির পাশের মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামানো হয় রাজীবের কফিনবন্দি দেহ। সেখানেই গান স্যালুটের মাধ্যমে রাজীব থাপাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সেনা জওয়ানরা। গোর্খা রেজিমেন্টের বীর যোদ্ধাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এদিন জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ান ছিলেন বছর চৌত্রিশের রাজীব। বেশ কিছুদিন ধরে পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, শুক্রবার কাকভোরে কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে জওয়ানদের লক্ষ্য করে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গুলি চালাতে শুরু করে পাক সেনা। পালটা জবাব দেন সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ানরাও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দু’পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। সেই সময়ই গুলিবিদ্ধ হন জওয়ান রাজীব থাপা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই জওয়ানের।
নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলির লড়াইয়ে রাজীব থাপার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগান এলাকা। দু’মাস আগেই যিনি বাড়ি এসেছিলেন, তাঁর নিথর দেহ ফিরবে তা মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। গুলিবর্ষণের ২ দিন পর রবিবার সকালে আলিপুরদুয়ারের মেচপাড়ার বাড়িতে ফেরে রাজীব থাপার দেহ। বাড়ির পাশের মাঠে নামানো হয় কফিনবন্দি রাজীবকে। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীরাও আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন। শেষশ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন প্রচুর মানুষ।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৯ জন জওয়ান। সেই সময় শহিদ হয়েছিলেন এ রাজ্যের বাবলু সাঁতরা ও সুদীপ বিশ্বাস নামে দুই জওয়ান। সেই ঘটনার পর মাস ছয়েক ঘুরতে না ঘুরতেই ফের কাশ্মীরেই শহিদ হলেন এ রাজ্যের আরও এক জওয়ান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.