শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ২৩ মার্চ দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। বন্ধ গণপরিবহণ ব্যবস্থা। যার জেরে কার্যত অনাহারে দিন কাটছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের একাধিকগ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ, লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছেন পরিবারের এক মাত্র উপার্জনকারী। টাকা পাঠানোর রাস্তাও বন্ধ। যদিও দ্রুত পরিবারগুলিকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের কামাখ বসতির বাসিন্দা মেহেরুন্নাসা। বছর ৩২ এর এই বধূর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী মহম্মদ জিলানি দীর্ঘদিন ধরেই কর্মসূত্রে থাকেন রাজস্থানের জয়পুরে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরতেন তিনি। ২৩ মার্চ করোনা সংক্রমণ এড়াতে আচমকাই লকডাউন জারি হয়েছে দেশে। সম্পূর্ণ বন্ধ গণপরিবহণ। সেই কারণে বাড়ি ফিরতে পারেননি জিলানি। স্বাভাবিকভাবে চরম অর্থ সংকটে গোটা পরিবার। কাছে যা টাকা ছিল তাতে ২-৪ দিন চলেছে। কার্ডের সমস্যা থাকায় মেলেনি রেশন। এরপর ২ দিন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে খাবার দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে জল-মুড়ি ছাড়াই কিছুই জুটছে না। সেটাও কতদিন মিলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
শুধু ওই বধূ নন। ইসলামপুরের মারাগাঁও, মালকাডাঙা, কাচনা, কালনাগিন, অজয়পুকুর, ধনতলা-সহ সব পরিবারের অবস্থাই এক। এই সংকটকালে পুরুষ শূণ্য গ্রাম। কারণ পেটের তাগিদে সকলেই ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তাই চেষ্টা করলেও ঘরে ফিরতে পারছেন না কেউ। এমনকী টাকাও পাঠাতে পারছেন না। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার শচিন মক্কারের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, “গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুতই ওই পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।” দুস্থ পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.