দিব্য়েন্দু মজুমদার, হুগলি: দেশজুড়ে চলছে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। ধর্মকে তাস করে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার আসরে শামিল শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ। চাপানউতোরের মাঝেই উঠে এল সম্প্রীতির ছবি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিবমন্দির তৈরি করলেন হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের যুবকেরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষী রইল হুগলির কোন্নগরের চটকল এলাকা।
কোন্নগরের চটকল এলাকায় হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই বাস। মিলে মিশে একে অপরের উৎসবে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা। কিন্তু সম্প্রতি দেশের সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে অবচেতনে একটা দূরত্ব তৈরি করছে। সেই দূরত্বকে ঘুচিয়ে হিন্দু-মুসলমান ভাইবোনেরা একে অপরের কাছে এগিয়ে আসেন। দুই ভিন ধর্মের মানুষদের উদ্যোগে তৈরি হল শিবমন্দির। পুরোহিত ডেকে মন্ত্রপাঠ করে রীতি মেনে নারকেল ফাটিয়ে শিবের পুজো করেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। পুজো শেষে প্রবীরবাবু বলেন, ”দেশজুড়ে বর্তমানে হানাহানি চলছে। এলাকার মানুষই ঠিক করেছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য একটা মন্দির স্থাপন করবেন। যেখানে সব ধর্মের মানুষ পুজো করতে পারবেন। মন্দির স্থাপনের মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষ সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিলেন। এটা আমাদের রাজ্যের সংস্কৃতি। আমরা সকলে মিলেমিশে আগেও থাকতাম। এখনও থাকি। আগামী দিনেও থাকব। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এটা আমাদের রাজ্য়ের পরম্পরা, সংস্কৃতি।”
হর-হর মহাদেব ধ্বনি দিতে থাকেন মুসলমানরা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সলমন বলেন, ”আমরা সকলে সুখ-দুঃখে থাকি। একে-অপরের বিপদে পাশে দাঁড়াই। আমরা মনে করি একে অপরের মনের কাছাকাছি থাকলে ভাল থাকতে পারব। সকলে ইদ ও দুর্গাপুজোয় অংশগ্রহণ করি। এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই।” মন্দির প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো উৎসবের মেজাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.