চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কয়েকদিন আগেই ‘করোনা মাতা’র পুজোয় মেতেছিল বারাবনি, আসানসোল ও রানিগঞ্জের বাসিন্দারা। এবার মাঠের মধ্যে গজিয়ে ওটা বিশালাকার ছত্রাককে ‘করোনা দেবতা’ রূপে পুজো করা হল রানিগঞ্জের হাড়াভাঙা আদিবাসী পাড়ায়। সামাজিক দূরত্বের বিধি ভেঙে ভিড় জমালেন বহু মানুষ। কেউ জ্বেলে দিলেন ধূপ। কেউ দিলেন ফুল। পড়ল প্রণামীও। আর গোটা পুজোই ক্যামেরাবন্দি করলেন এলাকার যুবক-যুবতীরা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ বাদ্যকর বলেন, “রবিবার বাচ্চারা মাঠের মধ্যে খেলতে খেলতে দেখতে পায় ওই বিশালাকার ছত্রাকটিকে। আমাদের বিশ্বাস ওই ছত্রাকটি ‘করোনা দেবতা’। ওই দেবতাকে পুজো করলেই করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাব আমরা। সেই কারণেই পুজোর আয়োজন।”
এই খবর পাওয়ার পর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য কাউন্সিলের সদস্য কিংশুক মুখোপাধ্যায় বলেন, “কিছু মানুষের অজ্ঞতায় ‘করোনা দেবতা’র সৃষ্টি হল। বর্ষাকালে ছত্রাকে জন্ম হবে, এটাই স্বাভাবিক। তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। বাংলার মাঠে ঘাটে বিভিন্ন রকম ছত্রাক পাওয়া যায়। এই ছত্রাক কোন প্রজাতির সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার বদলে পুজো অর্চনা করা অযৌক্তিক। এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে বারবার এই ঘটনার বিরোধিতায় সুর চড়ালেও তাতে কর্ণপাত করছে না আমজনতা, লাগাতার করোনা পুজো তারই প্রমাণ।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে পরিত্যক্ত গোডাউনে কোয়ারেন্টাইন যাপন! সাপের কামড়ে মৃত্যু পরিযায়ীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.