Advertisement
Advertisement
Naihati

বিধবা ভাতার ১০ হাজার টাকার লোভে শাশুড়িকে খুন! জেঠিয়ায় বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে গ্রেপ্তার জামাই

টাকা চেয়ে না পেয়ে শাশুড়ির গলার নলি কেটে খুন করে ধৃত আখের আলি, জেরায় সে সব স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের।

Son-in-law arrested accused of killing old woman for trying to steal her money
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 27, 2025 5:18 pm
  • Updated:January 27, 2025 5:22 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: শাশুড়ির তিলে তিলে জমানো টাকার প্রতি লোভ ছিল অনেকদিনই। কিন্তু বৃদ্ধা তাঁর একমাত্র সম্বল অতি যত্নে আগলে রেখেছিলেন। জামাইয়ের কুনজর থেকে বাঁচাতে জমানো ১০ হাজার টাকা রেখেছিলেন প্রতিবেশীর বাড়িতে। তা বোঝামাত্র জামাই আর স্থির থাকতে পারেনি। ফল কাটতে কাটতে রাগের মাথায় শাশুড়িতে গলায় ছুরির কোপ বসিয়ে দিয়েছিল। মৃত্যু হয় বৃদ্ধার ফুলজান বিবির। উত্তর ২৪ পরগনার জেঠিয়ায় বৃদ্ধা খুনের চারদিনের মধ্যে কিনারা করল পুলিশ। গ্রেপ্তার জামাই আখের আলি মণ্ডল।

গত ২৩ তারিখ রাতে জেঠিয়া থানার অন্তর্গত নৈহাটির কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েতের পাল্লাদহে অশীতিপর বৃদ্ধা খুনের ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই বৃদ্ধার জামাই আখেরকে সন্দেহভাজন বলে মনে হয় পুলিশের। শেষমেশ তাকেই গ্রেপ্তার করে খুনের কিনারা করা হল। জানা যাচ্ছে, পাল্লাদহে মেয়ের বাড়িতে থাকলেও বছর আশির ফুলজান বিবিকে খেতে দিত না মেয়ের পরিবার। প্রতিবেশীরাই তাঁর দেখভাল করতেন। মেয়ের পরিবারে সঙ্গে বৃদ্ধার প্রায়ই ঝগড়া অশান্তি হত। বিশেষ করে জামাইয়ের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল তাঁর। বৃদ্ধার জমানো সামান্য সম্পত্তিতেও যে জামাইয়ের নজর, তা বুঝতে পেরেছিলেন ফুলজান বিবি। আর তাই সরকারি প্রকল্পের গচ্ছিত ১০ হাজার টাকা তুলে প্রতিবেশীর কাছে রেখেছিলেন তিনি।

Advertisement

এদিকে আখের আলি খবর পায়, শাশুড়ি বিধবা ভাতার টাকা জমানোর পর তা তুলেছেন। নয় নয় করে তার পরিমাণ হাজার দশেক। শুনেই সেই টাকা হাতাতে যায় সে। টাকা চাইতে গেলেই ফুলজান বিবির সঙ্গে জামাই আখেরের সঙ্গে অশান্তি বাঁধে। পরে কোনওভাবে আখের জানতে পারে, বৃদ্ধা টাকা তুলে প্রতিবেশীর কাছে রেখেছে। এই আক্রোশেই গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শাশুড়ির গলার নলি কেটে খুন করে আখের। পুলিশি জেরায় তা স্বীকারও করেছেন ধৃত।

বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) গণেশ বিশ্বাস সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, পরিবারের কেউ এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারপর তদন্ত চালিয়ে জানা যায় সরকারি প্রকল্পের গচ্ছিত ১০হাজার টাকা তুলে প্রতিবেশীর কাছে রেখেছিলেন বৃদ্ধা। সেই টাকা চেয়ে না পেয়ে খুন করে ধৃত। ধৃতের বয়ানে সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মিল পাওয়া গিয়েছে। খুনের অভিযোগ স্বীকার করে ধৃত জানিয়েছে, আর কেউ জড়িত নয়। প্রতিবেশী কার কাছে টাকাটি রয়েছে সেটাও জানার চেষ্টা চলছে।” যদিও খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সেই অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement