নন্দন দত্ত, সিউড়ি: হোটেলের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে মহিলাদের স্নানের ভিডিও রেকর্ড! পরে তা মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হত! এমনই ঘটনা ঘটেছে তারাপীঠের নামী হোটেলে। ইতিমধ্যে সেই হোটেলের ম্যানেজার ও রিসেপসনিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। তাদের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট আদালত।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ এপ্রিল। পরিবারের সঙ্গে তারাপীঠে বেড়াতে এসেছিলেন এক মহিলা। হোটেলের বাথরুমে স্নানের সময় লক্ষ্য করেন সেখানে একটি গোপন মোবাইল ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরাটি নিয়ে হোটেলের ম্যানেজার ও রিসেপসনিস্টের কাছে অভিযোগ করেন। তারা তৎক্ষণাৎ বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। বলতে থাকে, ‘এটা আমাদের কাজ নয়। হোটেলের কোনও কর্মীর কাজ হতে পারে।’ এই কথা বলতে বলতে ক্যামেরা নিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। এরপরই রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অবশেষে গতকাল, সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম অভিজিৎ রায় এবং শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনার পরই তারাপীঠের হোটেলগুলিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে তারাপীঠ হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, “এবিষয়টা নিয়ে আমরা তারাপীঠের সকল হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বারবার বলেছিলাম, পর্যটকদের নিরাপত্তা আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অস্থায়ী কর্মচারী। কিন্তু পর্যটকদের অভিযোগ, ওরা দুজনে ওই কর্মচারীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য় করেছিল।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হোটেল কর্মচারীর রেকর্ড করা ভিডিওটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তাদের আরও দাবি, হোটেল মালিকদের বারবার বলা হলেও তারা পর্যটকদের নামের রেকর্ড রাখে না। এমনকী, কর্মচারীদের পরিচয়পত্র, নাম রাখা হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.