দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রঙের উৎসব এবছর ফিকে শ্রীরামপুরে। দোল খেলবেন না সেখানকার বহু বাসিন্দাই। আবির, মিষ্টি হাতে পাড়া-প্রতিবেশীকে শুভেচ্ছা জানাতে বেরবেন না সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু করোনা আতঙ্কেই যে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত, তেমনটা নয়। দিন কয়েক আগেই পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট ঋষভ সিংয়ের। সেই শোক এখনও সামলে উঠতে পারেননি কেউ। তাই দোল বা হোলি এখানে বেরঙিনই।
রবিবার শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইন্ডোর গেমসের গ্রাউন্ড উদ্বোধন করতে সেখানে গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনা ছোট্ট ঋষভের মৃত্যু আমার কাছে একটা বিরাট আঘাত। যে ঋষভ আমার কোলে-পিঠে বড় হয়েছে, সে আজ নেই। সেই শোক এখনও ভুলতে পারিনি। তাই এবছর রং খেলব না। হোলির আগে এটা আমার কাছে ভীষণ বেদনার। যেখানেই যাচ্ছি, তাঁদের বলছি – আমায় রং দেবেন না।” এই একই অনুভূতিতে আচ্ছন্ন শ্রীরামপুরের আরও অনেকেই।
গত মাসের ১৪ তারিখ স্কুল যাওয়ার পথে পুলকার দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয় ঋষভ এবং তার বন্ধু দিব্যাংশু। টানা ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেশ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে বিদায় নেয় ঋষভ। সুস্থ হয়ে ঘরে ফের দিব্যাংশু। পুলকার মালিকের গাফিলতি, চালকের ভুল-সহ একাধিক কারণে ছোট্ট ঋষভের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কেউই। এখনও মন ভারাক্রান্ত। তাই ঋষভের পরিবার তো বটেই, রঙের উৎসব থেকে দূরে থাকছেন প্রতিবেশীরাও।
এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁকে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁদের ছবি ভাইরাল হতেই রাজ্য জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, “বিমল গুরুং ও রোশন গিরি ফেরার। কখনও নেপালে, কখনও অন্য কোথাও লুকিয়ে আছে। ভারতের একজন ক্রিমিনাল, যার বিরুদ্ধে গোর্খাল্যান্ডের নাম করে নেপালের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা, ভারত ভাগের চক্রান্তের অভিযোগ আছে, সেই ফেরার ক্রিমিনালদের বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি আশ্রয় দিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.