সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি(SSC Scam) চিহ্নিত করেছিলেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন। রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের ‘মসিহা’। নানা টানাপোড়েনের পর অবশেষে সোমবার ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন আর তিনি বিচারপতি নন। ইস্তফা দেওয়ায় তাঁর আগে জুড়েছে ‘প্রাক্তন’ তকমা। রাজনীতিক হিসাবে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তিনি। ভোটপ্রচারের ব্যস্ততার মাঝে রায় নিয়ে মুখ খুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন তিনি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলা নিয়ে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলাম বিচারপতি হিসাবে। উপযুক্ত প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। ঠকানো হয়েছিল। তা বুঝতে পেরেছিলাম। ঠকিয়ে দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম সকলে রয়েছেন।” রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমার হাতে একবার ধরা পড়েছে। এখন আবার ধরা পড়েছে।” এর পরই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁজালো আক্রমণ করেন। বলেন, “ওঁকে আর মুখ্যমন্ত্রী বলে মানি না। এবার থেকে ওঁকে আর মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বোধন করব না। শুধু মমতা বলব। মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ঠকিয়েছিলেন। সকলের উচিত তৃণমূলকে বয়কট করা। জোচ্চরদের ফাঁসিতে চড়ানো উচিত।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। আদালতের রায়ে চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। হাই কোর্টের রায়ে তবে কি খুশি অভিজিৎবাবু? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য তমলুকের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আনন্দ হচ্ছে না। বরং খারাপই লাগছে।” তবে যোগ্য প্রার্থীরা যাতে চাকরি পান সেই প্রার্থনাই করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক শেষে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পদযাত্রা করার কথা তাঁর। তার পর মন্দিরে পুজো দেবেন বলেও জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.