শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সাড়ে ৩ মাস আগে শেষবার বাড়ি ফিরেছিলেন। বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল ১২ দিন আগে। মেয়ে জানিয়েছিলেন সমস্যার কথা। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মেয়েকে মনের জোর জুগিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সকালে মিলল দুঃসংবাদ। এসএসকেএমের নার্সিং পড়ুয়া সুতপা কর্মকারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর বাবা-মা।
রায়গঞ্জের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা সুধাময় ও বেলা কর্মকার একমাত্র সন্তান সুতপা। সুধাময়বাবু সোনার গয়নার কারিগর। মা গৃহবধূ। মধ্যবিত্ত বাবা-মা মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। দেবীনগর কৈলাস রাধারানি উচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা শেষের পর কলকাতায় পড়তে পাঠিয়েছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন সুতপা। পড়াশোনা শেষের পর মেয়ে চাকরি পাবেন, স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছিলেন সুতপার বাবা-মা। আচমকা স্বপ্নভঙ্গে তাজ্জব সদ্য সন্তানহারারা।
পরিবার সূত্রে খবর, দিনকয়েক ধরে সুতপা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। মনমরা ছিলেন। বাবাকে জানিয়েছিলেন সমস্যার কথা। মনের জোরও জুগিয়েছিলেন বাবা-মা। তা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না সুতপাকে। তবে ঠিক কারণে মনমরা ছিলেন সুতপা, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই কলকাতায় পাড়ি দিয়েছেন সন্তানহারা বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.