ছবি:প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) সাফল্যের সঙ্গে আইন ও শৃঙ্খলা সামলেছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্তারা। সম্প্রতি কলকাতায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা কর্তারাও।
সম্প্রতি রামনবমীতে (Ram Navami) হাওড়া-সহ কয়েকটি জায়গা থেকে হিংসার অভিযোগ ওঠে। এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর উপর হামলা চালায়। পুলিশের উপরও হামলা চালানো হয়। সূত্রের খবর, গোয়েন্দা কর্তাদের বৈঠকে রামনবমীর হিংসার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর উপর হামলা কেন চালাল, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কোন কোন জায়গায় হামলা, কীভাবে গোলমালের সূত্রপাত, একই সঙ্গে ওই সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। গোলমালের পিছনে কাদের মদত ছিল, হামলা ও হিংসার বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা নিয়েও হয় আলোচনা। এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটল কেন, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে ওই বৈঠকে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের হিংসা রোখার জন্য কী কী করতে হবে, সেই প্রসঙ্গে কয়েকজন গোয়েন্দা কর্তা রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সমন্বয়ের উপর জোর দেন।
এই ধরনের মিছিল বা জনসভার আগে কেউ কোনও গোলমালের ছক কষেছে কি না, সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের গোয়েন্দারা কোনও তথ্য পেলে যাতে তার আদানপ্রদান হয়, তার উপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরপরই বৈঠকে উঠে আসে রামনবমীর পর হনুমান জয়ন্তীর প্রসঙ্গ। হনুমান জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে রাজ্যের গোয়েন্দাদের তথ্যের আদানপ্রদান হয়।
কোন কোন জায়গা থেকে মিছিল আসবে, সেখানে কারা থাকবেন ও কোথাও গোলমালের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সেই সম্পর্কে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মধ্যে সমন্বয় থাকার কারণে পুলিশও সতর্ক হয়ে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল সব জায়গায়। সেই কারণে কোনও গোলমাল হয়নি। এই ক্ষেত্রে বৈঠকে রাজ্য পুলিশের প্রশংসাই করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাকর্তারা। এ ছাড়াও ওই বৈঠকে বিএসএফের প্রশংসা করা হয়। সীমান্তে গরু পাচার একেবারে তলানিতে নিয়ে আসার কারণেই বিএসএফের প্রশংসা করা হয়।
বলা হয়, সীমান্তবর্তী এলাকার বাগানগুলিতে গরু নিয়ে এসে লুকিয়ে রাখা হত। এর পর সেগুলি গভীর রাতে পাচার করত পাচারকারীরা। সেখানে ওই বাগানগুলিতে টানা তল্লাশি, নজরদারি ও ধরপাকড়ের কারণেই গরু পাচার নিয়ন্ত্রণে আসে বলে অভিমত গোয়েন্দাদের। জঙ্গিদমন সংক্রান্ত প্রসঙ্গও ওঠে বৈঠকে। কিছু জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিচ্ছে। তারা সীমান্ত পেরিয়ে এসে যাতে এই রাজ্যে যুবকদের মগজধোলাই না করতে পারে, সেই ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.