সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বাড়বাড়ন্তে বাড়ির কোণে বন্দি হয়ে গিয়েছিল আমজনতা। পর্যটন স্থলগুলি প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সমস্যায় পড়েছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকে ফের ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন আমজনতা। ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল দিঘা, দার্জিলিং-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন স্থলে। তবে ফের করোনা বাড়বাড়ন্তে বদলাল ছবি। ২০২০ সালের লকডাউনের মতো ফের ফাঁকা পর্যটনস্থল। বাতিল হোটেল, লজের বুকিং।
বড়দিন এবং বর্ষবরণের সময় সৈকতশহর দিঘার টানে ছুটে যান বহু বাঙালি। তবে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে লাগাম দিতে রবিবার কড়া কোভিডবিধির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব। তারপর থেকে মনখারাপ পর্যটকদের। হোটেল, লজ ছেড়ে বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত প্রায় সকলেই। রবিবার বিকেল থেকেই বাড়ি ফেরার তাড়া লেগেই রয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই তাই ফাঁকা সমুদ্র সৈকত। দিঘার মতো দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতিও প্রায় একইরকম। ইতিমধ্যেই শৈলশহর ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।
এদিকে, শান্তিনিকেতনে বন্ধ সোনাঝুরির হাট। সোমবার জেলা প্রশাসনের তরফে থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নবান্নের নির্দেশিকার কথা মাথায় রেখে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই হাটে কোনও জিনিসপত্র বিকিকিনি হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কারণ, সোনাঝুরির হাটে বিভিন্ন জেলার মানুষ এসে ভিড় জমান। তার ফলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে লক্ষ্মীলাভ কিছুটা কম হবে, সেকথা ভেবে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনও পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ করেছে। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে কেউই ঢুকতে পারবেন না। রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি পর্যটনস্থলই যেন খাঁ খাঁ করছে। যা দেখে অনেকেই বলছেন, ফের ফিরছে লকডাউনের স্মৃতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.