সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধন্যি অধ্যাবসায়। আর সেই অধ্যাবসায়কেই পুঁজি করে JEE পরীক্ষায় বসলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার এক পড়ুয়া। প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে সল্টলেকের পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন তিনি। কঠিন এই লড়াইয়ে পড়ুয়া পাশে পেয়েছেন তাঁর বাবা। এত কষ্ট করেও পরীক্ষা দিতে আসার কথা কেউ ভাবতে পারে, অনেকেই করছে সেই প্রশ্ন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার (Gosaba) বাসিন্দা দিগন্ত মণ্ডল। বাবা রবি মণ্ডল পেশায় এক কাঠের মিস্ত্রি। বুধবার JEE পরীক্ষায় বসার কথা ছিল দিগন্ত। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে পরীক্ষার সিট পড়েছিল তাঁর। করোনা পরিস্থিতিতে এখনও গণপরিবহণ স্বাভাবিক হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়ছেন পরীক্ষার্থীরা। তার উপর দিগন্তের মতো প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়াদের তো দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে হাল ছাড়েননি বছর উনিশের মেধাবী দিগন্ত। যেকোনও উপায়ে পরীক্ষা দেবেন বলেই স্থির করেছিলেন তিনি।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। মঙ্গলবার সকাল ছ’টা নাগাদ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরোন দিগন্ত। সঙ্গে ছিলেন বাবা। কিছুটা সাইকেল চালিয়ে আসার পর নৌকায় বিদ্যাধরী নদী পার করেন তাঁরা। তারপর আবারও প্রায় চার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পিয়ালি গ্রামে পৌঁছন বাবা এবং ছেলে। রাতভর সেখানেই বিশ্রাম নেন তাঁরা। বুধবার সকালে ফের যাত্রা শুরু। তখন অবশ্য বাবাই সাইকেল চালান। সাইকেল চড়ে যেতে যেতেই ফের পড়াশোনা করে নেন দিগন্ত। ওইদিন সকাল ৯টা নাগাদ সোনারপুরে পৌঁছন তাঁরা। সেখানে সাইকেল জমা রেখে অটো ধরে গড়িয়া পৌঁছন। তারপর দু’টি বাস বদল করে ঠিক সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছন JEE পরীক্ষার্থী এবং তাঁর বাবা। গণপরিবহণ স্বাভাবিক থাকলে এতটা দুর্ভোগ পোহাতে হত না বলেই দাবি পরীক্ষার্থী এবং তাঁর বাবার। কষ্ট করেও পরীক্ষা দিতে পেরে বেজায় খুশি দু’জনেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.