সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: স্কুলে ফুটবল খেলা চলাকালীন ঝামেলা। আর তার জেরে স্কুলের মধ্যে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বহিরাগত ছাত্রদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সোনু খান-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুরুলিয়ার (Purulia) আড়শা থানার পুলিশ। শুক্রবার আড়শার কান্টাডি হাই স্কুলের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, আড়শা থানার এলাকার কান্টাডি হাই স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ ((Football Match) চলছিল বৃহস্পতিবার। সেই সময় একাদশ শ্রেণির ছাত্র দীপঙ্কর মাহাতোর সঙ্গে দ্বাদশের ছাত্র আজগর খানের মধ্যে ঝামেলা হয়। আজগর খান ইট দিয়ে দীপঙ্কর মাহাতোর মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। আজগর নিজেই এই ঝামেলার খবর দেয় বাড়িতে। এরপর আজগর খানের খুড়তুতো ভাই সোনু খান স্কুলে আসে। তার কাছে থাকা একটি পিস্তল (Pistol) বের করে শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে।
সোনু খান গুলি চালানোর পরই তৎপর হয়ে ওঠেন শিক্ষকরা। তাকে ঘিরে ধরে রাখে স্কুলের অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকরা। খবর দেওয়া হয় আড়শা থানায়। অভিযুক্ত সোনু খানকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। গতকাল রাতেই সোনু খান ও মইনুদ্দিন খান নামে ২ নাবালককে অস্ত্র আইনে (Arms Act) গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও আরও ৩ জনকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) ধারায় মামলা করা হয়েছে। মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আড়শা থানার পুলিশ। ধৃতরা সবাই নবালক।
সোনু খান ও মইনুদ্দিন খান নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল বোর্ডের কাছে পেশ করা হয়। অন্যদিকে, এই স্কুলের দুই ছাত্র-সহ ছাত্রের এক বন্ধুকে জেলা আদালতের স্পেশ্যাল কোর্টে তোলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে এক নাবালিকা। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জনকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার ধানবাদ-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.