পলাশ পাত্র, তেহট্ট: প্রধান শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন অন্য স্কুলে। কিন্তু তিনি এখন যে স্কুলের পড়ান, সেই স্কুলের পড়ুয়ারা তাঁকে ছাড়তে নারাজ। ‘প্রিয় স্যার’-র বদলি রুখতে সোমবার দিনভর প্ল্যাকার্ড হাতে তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠে অবস্থান বিক্ষোভ করল পড়ুয়ারা। বন্ধ থাকল পঠনপাঠন। চাপে পড়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন শিক্ষক মিনারুল শেখ।
তেহট্টের পলাশিপাড়ার হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠ স্কুলে প্রায় সতেরো বছর শিক্ষকতা করছেন মিনারুল শেখ। অংকের শিক্ষক তিনি। ছাত্রমহলে বরাবরই অত্যন্ত জনপ্রিয় হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের অংকের শিক্ষক। ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষাই পাসও করেছেন। গত ৩ জুলাই তেহট্টের শ্যামনগর এলাকার সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউটে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার চিঠি পান অংকের শিক্ষক মিনারুল শেখ। তাঁর পদোন্নতিতে বাধা দেয়নি হাসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের স্কুল পরিচালন কমিটি। মিনারুল শেখকে ছাড়পত্র দিয়েছে তারা। কিন্তু ওই শিক্ষকের স্কুল ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটে বিপত্তি।
সোমবার সকালে হাসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের স্কুলের সামনে জড়ো হয় পড়ুয়ারা। মিনারুল শেখের বদলি রুখতে ক্লাস বয়কট করে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ে তারা। স্নোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট মিনারুল স্যার’। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ‘মিনারুল স্যার খুব ভাল অংক করান। তিনি যদি চলে যান তাহলে স্কুলের ক্ষতি হবে।’ পড়ুয়াদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ক্লাসে ফেরানোর জন্য মাইকে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন মিনারুল শেখ নিজেই। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ক্লাসে যেতে রাজি হয়নি কেউই। শেষপর্যন্ত অন্য স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেবেন কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন ওই শিক্ষক। মিনারুল শেখ জানিয়েছেন, ‘আমি ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা আবেগের বশে এমন করছে। মঙ্গলবার নিয়োগপত্র আনতে কলকাতায় যাব। দেখা যাক, তারপর কি হয়।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.