শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠল আসানসোল উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় (Kazi Nazrul University)। মঙ্গলবার সকালের বিক্ষোভ চলল গভীর রাত পর্যন্ত। ভেতরে আটকে রইলেন রেজিস্ট্রার ও কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ পর পড়ুয়াদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ওঠে বিক্ষোভ।
করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির পরও কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক হারে ফি বৃদ্ধি করেছে, এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। সকাল থেকে শ’য়ে শ’য়ে পড়ুয়া জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। দুপুর থেকেই বাইরের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কমাতে হবে এবং উপাচার্যকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ না করায় পড়ুয়ারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। প্রবল চাপে তালা ভেঙে যায়, গেটও বেঁকে যায়। এরপর পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ভবনের বাইরের গেটে তালা দিয়ে দেয়। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকে।
ছাত্র নেতা শিলাদিত্য রায় বলেন, ফি বাবদ বিপুল টাকা নেওয়া হচ্ছে, আমরা এটা মানব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, “২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে সিদ্ধান্ত হয় অ্যাকাডেমিক এনরোলমেন্ট ফি বারানো হবে। ফি ধার্য্যও করা হয়। লকডাউনের জন্য ইমপ্লিমেন্ট হয়নি। এবার ২০-২১ থেকে সেটা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে। এখন ওরা আপত্তি তুলছে। ওরা ভাইসচান্সেলারের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন। তিনি বলেন ভিসি স্যার নেই কলকাতা গিয়েছেন। আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গে কী করে ভিসি স্যারের বৈঠক করানো যায় দেখছি।” একথা মানতে রাজি হননি বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। ফলে রাত পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ও কর্মীরা আটকে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। পরে গভীর রাতে দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এগারো দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলেন নামবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.