Advertisement
Advertisement
Sukanta Mazumdar

দুই এলাকার ভোটার তালিকায় নাম সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রীর! কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

চলতি সপ্তাহে জেলাস্তর থেকে রিপোর্ট কমিশনে জমা পড়বে।

Sukanta Mazumdar opens up on wife voter list controversy
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 22, 2025 9:39 am
  • Updated:May 22, 2025 10:00 am  

স্টাফ রিপোর্টার: ভোটার কার্ড বিতর্কে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল মজুমদার। অভিযোগ, দুই এলাকার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত। 

সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সুকান্তর স্ত্রী কোয়েলের নাম বালুরঘাট ও জলপাইগুড়ি দুই জায়গার ভোটার তালিকাতেই রয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তের নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মতো জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসককে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে সুকান্ত জানান, “স্ত্রীয়ের বাপের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। তাই সেখানে ওঁর নাম ছিল। বিষয়টি নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয় তাই ইতিমধ্যে ওই তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে আবেদন জানানো হয়েছে।”

Advertisement

কমিশন সূত্রে খবর, বিয়ের আগে কোয়েল চৌধুরি নামে ভোটার কার্ড ছিল কোয়েলের। বিয়ের পর বালুরঘাটে এসে নতুন ভোটার কার্ড হয় কোয়েল মজুমদার নামে। অভিযোগ, দুই জায়গায় দুই রকম ভোটার কার্ড ব্যবহার করে একই ব্যক্তি একাধিক ভোটদানের ক্ষমতা ভোগ করছেন। কমিশন সূত্রে খবর, দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম পাওয়া গেলেও দুই এপিক কার্ডের নম্বর ভিন্ন। এক্ষেত্রে দুই কেন্দ্রে পৃথক দিনে ভোট হলে একই ব্যক্তির দু’জায়গাতেই ভোট দেওয়া সম্ভব। সেকারণেই কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে বলে খবর।

কমিশন জানাচ্ছে, বালুরঘাটে নতুন কার্ড তৈরির সময় যদি নির্বাচনী বিধি মেনে ফর্ম-৮ পূরণ করা হলে সমস্যা হত না। যে তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব ছিল কোয়েলদেবীরই। কিন্তু তিনি তা না করে ফর্ম-৬ পূরণ করে বালুরঘাটে নতুন কার্ড কার্ড করান। সেক্ষেত্রে তাঁর পুরনো কার্ডের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য অজানা থাকায় জলপাইগুড়ি এবং বালুরঘাট, দু’জায়গাতেই ভোটার তালিকায় নাম রয়ে যায়। যেহেতু দুই জায়গায় পদবি ও এপিক নম্বর আলাদা তাই কোন সন্দেহের অবকাশ হয়নি কমিশনের আধিকারিকদের। স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ পাওয়াতেই এই তথ্য সামনে এসেছে বলে মেনে নিয়েছে কমিশন। তবে দুই ‘কোয়েল’ একই ব্যক্তি কি না তা ভোটার কার্ডের ছবি মিলিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ইআরওকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। চলতি সপ্তাহে জেলাস্তর থেকে রিপোর্ট কমিশনে জমা পড়বে। সেটি সরাসরি দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement